রোনালদোর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন ফ্রেডেরিকা!

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো স্পেন ছেড়ে ইতালিতে পাড়ি জমিয়েছেন আড়াই মাসও হয়নি। এরই মধ্যে এক রমণীকে কাবু করে ফেলেছেন জুভেন্টাসের পর্তুগিজ সুপারস্টার। জয় করে ফেলেছেন মন। ফ্রেডেরিকা পেলেগ্রিনির কথাতেই স্পষ্ট, রোনালদোর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন তিনি। ইতালির এই তারকা নারী সাঁতারু পুরো হৃদয়টাই রোনালদোকে দিতে প্রস্তুত। তবে ৩৩ বছর বয়সী রোনালদো ভালোবাসার ডাকে সাড়া দিয়ে ৩০ বছর বয়সী ফ্রেডেরিকার হৃদয়ে প্রবেশ করবেন কিনা, সেটাই প্রশ্ন।

প্রশ্নটা উঠছে। কারণ, রোনালদোর জ্বলজ্যান্ত একজন বান্ধবী আছেন। তাদের ঘরে একটি সন্তানও আছে। গুঞ্জন আছে বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজের অনামিকায় আংটি পরানোর কাজটিও সেরে ফেলেছেন রোনালদো। এখন তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের পিঁড়িতে বসার।

তার চেয়েও বড় কথা, বান্ধবী রদ্রিগেজ এবং কন্যা আলানা মার্টিনাকে নিয়ে রোনালদো ইতালিতে বসবাস করছেন একই ছাদের নিচে। এবং ফ্রেডেরিকা পেলেগ্রিনিরও এ সবকিছু জানা। কিন্তু সবকিছু জানার পরও তিনি রোনালদোর বাহুডরে বাঁধা পড়তে প্রস্তুত। ফ্রেডেরিকা জুভেন্টাসের অন্ধ সমর্থক। রোনালদো যেহেতু তার প্রিয় সেই ক্লাবে যোগ দিয়েছেন, সুযোগ বুঝে তাই নিজের ভালোবাসাটাও প্রকাশ করলেন প্রকাশ্যে।

রোনালদোকে আকৃষ্ট করতে ফ্রেডেরিকা স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘যদি ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো আমাকে ডিনারে আমন্ত্রণ জানায়, সঙ্গে সঙ্গেই আমি হ্যাঁ বলে দেব। এমনকি সে যদি বাগদানও সেরে ফেলে বা সে যদি বিবাহিতও হয় এবং সন্তানও থাকে, তাতেও কোনো সমস্যা নেই। আমি সানন্দেরই তার আমন্ত্রণ গ্রহণ করব।’

এর মানে ফ্রেডেরিকা নিজে থেকেই রোনালদোর কাছে ডিনারের আমন্ত্রণ চেয়ে বসেছেন। কেউ কেউ আবার বলছেন, ডিনার চাওয়ার মাধ্যমে ফ্রেডেরিকা প্রকারান্তরে নিজের ভালোবাসার প্রস্তাবটাই দিয়ে ফেলেছেন রোনালদোকে। এখন প্রশ্ন একটাই, প্রস্তাব কবুল করে রোনালদো কি ফ্রেডেরিকাকে ডিনারে আমন্ত্রণ জানাবেন?

জ্বলজ্যান্ত একজন বান্ধবী যেহেতু বর্তমান, কাজেই রোনালদোর জন্য ফ্রেডেরিকার প্রস্তাবটা এই মুহূর্তে গ্রহণ করাটা কঠিন হবে। আবার ফ্রেডেরিকাকে মুখের ওপর না করে দেওয়াটাও হবে কঠিন। কারণ, নিজ ভুবনে ফ্রেডেরিকাও যে রোনালদোর মতোই সুপারস্টার।

হ্যাঁ সত্যিই তাই। অর্জন দক্ষতায় ইতালির ইতিহাসের সেরা নারী সাঁতারু ফ্রেডেরিকা। সারা বিশ্বেরই অন্যতম সেরা। ২০০ ও ৪০০ মিটার ফ্রি-স্টাইলের বিশ্ব রেকর্ডধারী। দেশ ইতালির ইতিহাসে একমাত্র তিনিই একাধিক ইভেন্টের বিশ্ব রেকর্ডধারী। ইতিহাসের একমাত্র সাঁতারু হিসেবে টানা ৭টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে সোনা জিতেছেন তিনি। অলিম্পিক ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে মিলিয়ে সোনার পদক জিতেছেন ১৩টি।

এই তথ্যই বলছে ফ্রেডেরিকা বিশ্ব নারী সাঁতারের সুপারস্টার। সঙ্গে রূপ-লাবণ্যেও কম নন। ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার সুন্দরী জলকন্যার চোখের ছোট্ট একটা ইশারাই হাজার তরুণের হৃদয়ে তোলপাড় তুলতে যথেষ্ট। ইতি মধ্যে দুজনের সঙ্গে প্রেমে মজেছেনও তিনি। প্রথম প্রেমিক লুকা মারিনের সঙ্গে তার সম্পর্কটা ভেঙে গেছে অনেক আগেই। ২০১১ সালে আবার নতুন করে হৃদয়ে জায়গা দেন সাঁতারু ফিলিপে ম্যাগনিনিকে। যতদূর খবর, ম্যাগনিনির সঙ্গে তার সম্পর্কটা এখনো অটুট।

কিন্তু তাদের এই সম্পর্কের সুতোটা ছিঁড়েও যেতে পারে, যদি রোনালদো সত্যি সত্যিই বান্ধবী রদ্রিগেজের সঙ্গে সম্পর্কটা চুকিয়ে ফেলে ফ্রেডেরিকার প্রস্তাব কবুল করেন। এখন দেখার বিষয়, সুইমিংপুলে নিত্য ঝড় তোলা ফ্রেডেরিকা রোনালদোর হৃদয়ে কতটা ঝড় তুলতে পারেন।