শালকের বিপক্ষে রেকর্ডই গড়ে ফেলল ম্যান সিটি

শালকের মাঠ থেকে প্রথম লেগেই ৩-২ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। তাতেই এক রকম নিশ্চিত হয়ে যায়, পেপ গার্দিওলার দলই উঠতে যাচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনালে। মনের কোণে অল্প যে একটু সংশয় ছিল, নিজেদের মাঠে কাল ম্যান সিটি তা শুধু ধুয়ে-মুছেই ফেলেনি। শালকেকে নিয়ে কাল রীতিমতো ছেলেখেলা করলো গার্দিওলার দল। ড্র করলেও যেখানে চলত, সেখানে কাল নিজেদের মাঠ ইতিহাদে ম্যান সিটি ৭-০ গোলে ভাসিয়েছে শালকে জিরো ফোরকে। দুই লেগ মিলিয়ে ১০-২ অগ্রগামিতা নিয়ে পা রেখেছে কোয়ার্টার ফাইনালে।

ছেলেখেলায় মেতে ম্যান সিটি গড়েছে রেকর্ডও। ৭-০, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটাই ম্যান সিটির সবচেয়ে বড় জয়। দুই লেগ মিলিয়ে ম্যান সিটির ১০-২ গোলের অগ্রগামিতাটাও ঠাঁই করে নিয়েছে রেকর্ডের পাতায়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে ইউরোপের সব ক্লাব মিলিয়েই এটা দ্বিতীয় বৃহত্তম জয়।

দুই লেগ মিলিয়ে নকআউট পর্বে এর চেয়ে বড় ব্যবধানে জেতার কীর্তি আছে একটিই। ২০০৮-০৯ মৌসুমে এই শেষ ষোলতেই দুই লেগ মিলিয়ে পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিংকে ১২-১ গোলে হারিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। আর একটু হলে বায়ার্নের সেই রেকর্ডেও ভাগ বসাতে পারতো ম্যান সিটি। তবে তা না পারলেও কোচ গার্দিওলার দলের আফসোস থাকার কথা নয়।

দলকে রেকর্ড গড়া এই জয় এনে দিতে গোল করেছেন ৫ জনে। আর্জেন্টাইন তারকা সার্জিও আগুয়েরো করেছেন জোড়া গোল। লেরয় শেন, রাহীম স্টার্লিং, বার্নার্ড সিলভা, পি ফোডেন ও গ্যাব্রিয়েল জেসুস করেছেন একটি করে।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের ঢেউ তুলে সফরকারী শালকেকে কাঁপিয়ে দেয় গার্দিওলার শিষ্যরা। কিন্তু গোল পাচ্ছিল না। অবশেষে ৫ মিনিটে ত্রাতা হয়ে আসেন আগুয়েরো। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন প্রথমে। এর ৩ মিনিট পর আবারও গোল উদযাপনে মেতে উঠেন আর্জেন্টাইন তারকা।

এবার আর পেনাল্টি ভাগ্যে নয়, সরাসরি ফিল্ড গোলই করেন তিনি। ৪২ মিনিটে আবারও সিটির গোল উৎসব। এবারের গোলটি করেন লেরয় শেন। জার্মান জার্মান তরুণ নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষেই যেন খেললেন নিজের সেরা খেলাটা। গোল করার পাশাপাশি তাই তিনি পকেটে পুড়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারটিও।

যাই হোক, ৩-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় ম্যান সিটি। ফিরে এসে দ্বিতীয়ার্ধে করেছে আরও ৪ গোল। একে একে গোল করেছেন রাহীম স্টার্লিং, বার্নার্ড সিলভা, ফোডেন ও জেসুসরা।

দিনের অন্য ম্যাচে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর হ্যাটট্রিক ম্যাজিকে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে জুভেন্টসা। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ অগ্রগামিতা নিয়ে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা উঠে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে।