১৯৯ করলেই সিরিজ বাংলাদেশের

বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে সিরিজের মীমাংসা হয়ে যাচ্ছে আর ঘণ্টা চারেকের মাঝে। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই। উইন্ডিজকে ১৯৮ রানে আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ । তার মানে মাত্র ১৯৯ রান করলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আরেকটি ওয়ানডে সিরিজে বিজয়ী হবে বাংলাদেশ।

সিরিজটা বাংলাদেশ ও উইন্ডিজের মধ্যে হলেও স্কোরবোর্ড আর খেলার ধরনে সিরিজটা শাই হোপ বনাম বাংলাদেশই হলো। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অনবদ্য ১৪৬ রানের এক ইনিংসে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছিলেন এই ওপেনার। আজ তৃতীয় ম্যাচে ভেন্যু বদলিয়েও হোপের ব্যাটে বাঁধ দেওয়া যায়নি। অন্যপ্রান্তে একের পর এক ব্যাটসম্যানের আসা যাওয়ার মাঝেও এক প্রান্ত আঁকড়ে রেখেছেন। ৯ টি চার ও এক ছক্কায় ১৩১ বলে ১০৮ রান তুলে অপরাজিত থেকেছেন হোপ। ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি মেরেছেন সাকিব আল হাসানের বলে। সে ছক্কাতেই ৯৪ থেকে ১০০তে পৌঁছেছেন হোপ।

ম্যাচের আগে স্লগ ওভার নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। বাংলাদেশের বোলারদের আজকের উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের মাঝেও কাটা হয়ে রইল সেই স্লগ ওভার। ৭ উইকেতে ১৫১ রান নিয়ে ৪১তম ওভার শুরু করেছিল উইন্ডিজ। এমন অবস্থায় প্রতিপক্ষকে অলআউট করে দেওয়ার চিন্তা থাকে ফিল্ডিং দলের। কিন্তু বাংলাদেশের বোলাররা নিতে পেরেছেন মাত্র দুই উইকেট, বিনিময়ে দিয়েছেন ৪৭ রান। প্রথম পাওয়ার প্লেতেও টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা এত রান নিতে পারেননি। সিলেটের উইকেটে বল নিচু হয়ে আসছে। স্পিনারদের সামনে পরে স্লগ ওভারে দেওয়া এই কিছু বাড়তি রানই আবারও জয় পরাজয়ের ব্যবধান গড়ে দিতে পারে আজ।

এর আগে বাংলাদেশের বোলিং ছিল মেহেদী হাসান মিরাজময়। তাঁর ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাঁর অফ স্পিনে ফিরেছেন চার ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান। ৩.৫ ওভারের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের রান তখন ১৫। মিরাজের বলে পয়েন্টে মোহাম্মদ মিঠুনকে ক্যাচ দেন হেমরাজ। এরপর ড্যারেন ব্রাভোকে নিয়ে হোপ গড়েন ৪২ রানের জুটি। ব্রাভো দলীয় ৫৭ রানের মাথায় আউট হন মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে। দলীয় ৯৬ রানে সাইফের বলে বোল্ড হয়েছেন স্যামুয়েলস (১৯)। মিরাজের বলে এরপর উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন রোভমান পাওয়েল। ৯৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল উইন্ডিজ।

মিরাজ ১০ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তাঁর ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্সের পর ৪০ রানে ২ উইকেট সাকিব আল হাসানের, মাশরাফি ২ উইকেট নিয়েছে ৩৪ রানে। অন্য উইকেটটি নিয়েছেন সাইফউদ্দিন (৩৮ রান)। ১০ ওভারে মাত্র ৩৩ রান দিলেও উইকেট পাওয়া হয়নি মোস্তাফিজ।