পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সুগন্ধি মরিচ চাষে সুলতানের আয় কয়েক লাখ টাকা

অল্প জমিতে ক্ষেত আর সামান্য উৎপাদন খরচে সুগন্ধি মরিচ চাষ করে মাসে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। দেশী প্রজাতির এই মরিচ চাষে তেমন রোগ বালাই না থাকায় পরিচর্যা কিংবা রক্ষনা বেক্ষন করার বাড়তি সময়ও বাচেঁ অনেক। এই মরিচের সুগন্ধে জনপ্রিয়তা বারতে থাকায় এখন স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আঞ্চলিক ভাষায় এই সুগন্ধি মোম্বাইকে বলা হয় ঘৃত বোম্বাই মরিচ।

উপজেলার নীলগঞ্জ ইউপির কুমিরমারা গ্রামের একজন সফল কৃষক সুলতান গাজী। তিনি দীর্ঘ বছর ধরে বিভিন্ন কৃষিতে লাভজনক চাষাবাদ করে এলাকাতে বেশ সুনাম কুঁড়িয়েছেন সৃজনশীল চাষী হিসেবে।

এবছর তিনি মাত্র ৪০ হাজার টাকায় ৩০ শতক জমিতে নাগা মরিচ (ইংরেজি) অথবা দেশী সুগন্ধি বোম্বাই মরিচ চাষ করে সারা ফেলে দিয়েছেন গোটা এলাকায়। মাত্র ১২০ দিনে এই ঝাজালো মরিচ বিক্রি করে আয় করেছেন তিন লাখ টাকা। তার ক্ষেতে এখনো প্রায় ১ লাখ টাকার মরিচ পরিপক্ক হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা এসে নিয়ে যাচ্ছেন তার ক্ষেতে উৎপাদিত মসলা জাতীয় এই ফসল।

 

আমতলী থেকে মরিচ কিনতে আসা খোকন জানান, তিনি সুলতানের ক্ষেত থেকে ২০০ টাকা দরে মরিচের শত কিনে নিয়ে খুলনাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করেন।

পটুয়াখালীর পাইকার হাসীব জানান, যখন মরিচের খুব চাহিদা থাকে তখন চরা দামেও আমরা কিনে নিয়ে যাই। আমি মরিচ কিনে বরিশালসহ বিভিন্ন একায় সরবরাহ করি।

কৃষি নির্ভরশীল চাষী সুলতান গাজী জানান, সারা বছরই আমার চাষাবাদ অব্যাহত থাকে। তবে এবছর দেশী জাতের ঘৃত বোম্বাই চাষ করে বেশ ভালোই লাভ করেছি। প্রথম দিকে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত মরিচের শত বিক্রি করেছি। এখন ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি করছি। সব মিলিয়ে প্রায় চার লাখ টাকা বিক্রি করবেন বলে আশাবাদী তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ জানান, দেশী উন্নত জাতের বোম্বাই মরিচ চাষ করে অনেক কৃষক লাভবান হচ্ছে। আমার সর্বক্ষণ মাঠ পর্যায়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি, পরামর্শ দিচ্ছি যাতে করে কৃষকরা চাষে আরো উন্নতি করতে পারে।