অন্তহীন জ্ঞানের আঁধার হল বই -প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য

‘অন্তহীন জ্ঞানের আঁধার হল বই, আর বইয়ের আবাসস্থল হোল গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরি। মানুষের হাজার বছরের লিখিত-অলিখিত সব ইতিহাস ঘুমিয়ে আছে একেকটি গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরির ছোট্ট ছোট্ট তাকে। গ্রন্থাগার হোল কালের খেয়াঘাট, যেখান থেকে মানুষ সময়ের পাতায় ভ্রমণ করে। তাই গ্রন্থাগারকে বলা হয় শ্রেষ্ট আত্মীয়। যার সাথে সবসময় ভালো সম্পর্ক থাকে। আর জ্ঞানচর্চা ও বিকাশের ক্ষেত্রে যার ভূমিকা অনন্য।’

ঐতিহ্যবাহি মনিরামপুর পাবলিক লাইব্রেরির নবনির্বাচিত নির্বাহী পর্ষদের পরিচিতি সভা ও সদস্য সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি।

মনিরামপুর পাবলিক লাইব্রেরির আয়োজনে শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকেলে মনিরামপুর পৌরসভা চত্বরে অনুষ্ঠিত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ আলী হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আরও বলেন, ‘লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগার জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সমাজ থেকে নিরক্ষতা ও চিন্তার পশ্চাৎপদতা দূরীকরণ, অর্জিত শিক্ষার সংরক্ষণ- সম্প্রসারণ, স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টিসহ আর্থ-সামাজিক প্রয়োজনে লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগারের ভুমিকা অপরিসীম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিষয়টি অনুধাবন করে সেই সময়ে সদ্যস্বাধীন ১৯৭২ সালের ৬ নভেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় গ্রন্থাগারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করে তার কর্মকান্ড শুরু করিয়েছিলেন। তারই উত্তরসূরী জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তনের সাথে সাথে দেশের লাইব্রেরি ও গ্রন্থাগার গুলোর উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছেন।’

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ কাজী মাহমদুল হাসান।

প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক (অবঃ) চিত্তরঞ্জন হালদার।

স্বাগত বক্তব্য ও উপস্থাপনায় ছিলেন লাইব্রেরির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মোঃ নূরুল হক।

মনিরামপুর পাবলিক লাইব্রেরির সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রধান শিক্ষক টিএম সায়ফুল আলমের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আবু মুছা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাড. বশির আহম্মেদ খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের আহবায়ক উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলাউদ্দীন, আওয়ামীলীগ নেতা সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য শুভ, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল আলিম জিন্নাহ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও লাইব্রেরির নির্বাহী সদস্য কাজী জলি আক্তার, সহসভাপতি অধ্যাপক আব্বাস উদ্দীন, সাজেদুর রহমান লিটু, যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জি. কাজী মাহমুদ পারভেজ শুভ, অর্থ সম্পাদক প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান, সাহিত্য সম্পাদক হোসাইন নজরুল হক, পাঠাগার সম্পাদক প্রভাষক মামুন অর রশিদ জুয়েল, আইসিটি সম্পাদক হাদিউজ্জামান ফয়সাল, নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ চঞ্চল ভট্টাচার্য্য, প্রভাষক ফিরোজ আহম্মেদ, সুমন দাস, পলাশ ঘোষসহ সুধীজন।