অবশেষে ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাল যুক্তরাজ্য-ইইউ

কয়েক মাসের আলোচনা শেষে ব্রেক্সিট পরবর্তীতে বাণিজ্য চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য।

ডয়চে ভেলে জানায়, এখন যুক্তরাজ্য ও ইইউ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের পার্লামেন্টে এই চুক্তির পাস হওয়ার অপেক্ষা।

ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এটি দুই পক্ষের জন্যই স্বাক্ষরিত সবচেয়ে বড় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি। ২০১৯ সালে এই অঞ্চলে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭৪৭ বিলিয়ন ইউরো।

২০১৬ সালে এক গণভোটের মাধ্যমে ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাজ্য। এরপর চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি সেই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

তবে ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে ইইউ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে কীভাবে বাণিজ্য চলবে তা নিয়ে একটি চুক্তির আলোচনা চলছিল। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তি সই না হলে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যে নানা সমস্যা দেখা দিত।

চুক্তি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে গত কয়েকদিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন নিজেদের মধ্যে বেশ কয়েকবার কথা বলেছেন।

বুধবার রাত থেকেই চুক্তিতে সম্মত হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল। তারপরও সারা রাত আলোচনা চলে। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চুক্তির খবর আশা করা হচ্ছিল।

আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ব্রেক্সিটের পর মাছ ধরার কোটা ব্যবস্থা নির্ধারণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতানৈক্য ছিল। সে কারণে চুক্তিতে পৌঁছতে এত সময় লেগেছে।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ফন ডেয়ার লাইয়েন একে ‘ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ’ চুক্তি বলেছেন।

বরিস জনসন বলেন, ‘আমরা আমাদের আইন ও ভাগ্যের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে এনেছি।’ এটা পুরো ইউরোপের জন্য একটি ‘ভালো চুক্তি’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।