অবহেলিত পাবনার ভাঙ্গুড়ার ডাকঘর, নষ্ট হচ্ছে নথি ও আসবাবপত্র

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ডাকঘরটি ১৯৮৫ সালে নির্মিত হয়। এরপর আর সংস্কার করা হয়নি। সংস্কারের অভাবে নষ্ট হচ্ছে মুল্যবান আসবাবপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ নথি। ভবনের দেয়াল ড্যাম হয়ে যাওয়ায় প্লাস্টার খসে পড়ছে। সরকারি এই অফিস ভবনের দোতলায় পোস্ট মাস্টারের কোয়ার্টার অনেক আগেই পরিত্যাক্ত হয়ে গেছে।

জানাগেছে ভবনের ছাদ দিয়ে বৃষ্টির পানি চুইয়ে পড়ায় অফিসের আলমারি ও তাকে রাখা গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট হচ্ছে। অফিসের স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসার চেয়ার ও সেলফে পচন ধরেছে। এখন ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা বলেন, এখানে জনসাধারণের কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকার আমানত রয়েছে। অথচ গ্রাহকদের বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রতিমাসেই মুনাফা আনতে গিয়ে তারা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

ডাকঘরের আমনতকারী গ্রাহক ভাঙ্গুড়ার শরৎনগর বাজারের নুরুল ইসলাম ও মলয় কুমার দেব বলেন, ডাকঘরটির অবস্থা খুবই বেহাল হয়ে পড়েছে। সংস্কারের অভাবে দরজা-জানালা খসে পড়ছে। সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরও এর প্রতি কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই।

উক্ত ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার নাহিদা সুলতানা বলেন, দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ইতোমধ্যে পোস্ট মাস্টারের বাসাটি নষ্ট হয়ে গেছে। অফিসের স্ট্রং রুম, টয়লেট ও পোস্ট মাস্টারের অফিস কক্ষটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া স্ট্রং রুমে টাকা রাখতে না পারায় দৈনিক তাদের ব্যাংকে যেতে হয়।

এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো ফল পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।