অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে অপেক্ষমাণদের দ্রতি টিকা নেয়ার নির্দেশনা

করোনা টিকা অ্যাস্ট্রাজেনেকার (কোভিশিল্ড) দ্বিতীয় ডোজ নিতে অপেক্ষমাণদের দ্রুত নিকটস্থ কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সোমবার (২৩ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফেসবুক পেজে এক জরুরি ঘোষণায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার (কোভিশিল্ড) ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে আছেন, তারা নিকটবর্তী কেন্দ্রে যোগাযোগ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করুন।’

এরই মধ্যে করোনাভাইরাস টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে দেওয়া জাপানের উপহারের ২৪ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার দেশে পৌঁছেছে। সর্বশেষ গত শনিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় চতুর্থ চালান। সবমিলে বাংলাদেশকে জাপানের ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে।

সম্প্রতি জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিৎসু মোতেগি কোভ্যাক্সের আওতায় ১৫টি দেশের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা উপহারের ঘোষণা দেন। সেই তালিকায় বাংলাদেশের নামও ছিল। সেখান থেকেই ৩০ লাখের বেশি ডোজ টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ।

দেশে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড দিয়ে প্রথম টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। তখন টিকার নিবন্ধনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৪০ বছর নির্ধারণ করেছিল সরকার। এর আগে ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কয়েক ধাপ পেরিয়ে এখন ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদেরও করোনার টিকা নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে টিকা প্রাপ্তি নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দিলে ২৬ এপ্রিল থেকে সাময়িকভাবে টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে টিকা প্রাপ্তিসাপেক্ষে আবার ৫ মে থেকে টিকার নিবন্ধন শুরু হয়। এ সময় টিকার নিবন্ধনের বয়স প্রথমে ৩৫ বছর, পরে ৩০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য টিকা উন্মুক্ত করা হয়। এরপর গত ২৯ জুলাই নতুন করে টিকা নেওয়ার বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ করে সরকার। সর্বশেষ ১৯ আগস্ট রাত থেকে টিকার নিবন্ধনের সর্বনিম্ন বয়সসীমা নামিয়ে ১৮ করা হয়।