স্থগিত হওয়া ইউপি নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে, ৪ সেপ্টেম্বর সিলেট-৩

নারায়ণঞ্জের সিটি করপোরেশন এবং স্থগিত হওয়া সব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোটগ্রহণ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। আর সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন আগামী ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (২৩ আগস্ট) নির্বাচন কমিশন সভা শেষে এ তথ্য জানান ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।

এর আগে সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন সচিব।

এ সভায় স্থগিত সিলেট-৩ আসনের ভোট, কুমিল্লা-৭ উপনির্বাচন, স্থগিত ১৬৭ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন, সব ইউপি, নারায়ণগঞ্জ সিটি, জেলা পরিষদ ও ৯ পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়।

বিদ্যমান করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ভোটের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। এর আগে গত ২৮ জুলাই সিলেট-৩ উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। ভোটের একদিন আগে আদালতের আদেশে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়।

ইসি সচিব জানান, আদালতের বাধ্যবাধকতা মেনে সিলেট-৩ উপনির্বাচন ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে করতেই হবে। এ জন্য ৪ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনের তারিখ পুননির্ধারণ করে ইসি।

গত ৩ মার্চ প্রথমধাপের ৩৭১টি ইউপির তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। তফসিল অনুযায়ী, ভোট হওয়ার কথা ছিল ১১ এপ্রিল। কোভিড পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ভোট স্থগিত করা হয়। পরে গত ৩ জুন ভোটের তারিখ পুনঃনির্ধারণ করে ২১ জুন করা হয়।

তবে সীমান্তবর্তী এলাকায় কোভিড পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ১৬৭টি ইউপির ভোট স্থগিত করা হয়। বাকি ২০৪টি ইউপিতে গত ২১ জুন ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে রয়েছে- খুলনা বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ১৬৭ ইউপি এবং ৯টি পৌরসভা।

করোনাভাইরাস মহামারির দেড় বছরে চলতি আগস্টে বেশ খারাপ অবস্থা পার করছে বাংলাদেশে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ১ জুলাই দেশে লকডাউন জারি করা হলেও বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে কোরবানির ঈদের সময় ৯ দিন তা শিথিল করা হয়েছিল।

ঈদের ছুটির পর ২৩ জুলাই থেকে আবার লকডাউন শুরু হলেও এর মধ্যে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। এরপর ১ আগস্ট সব রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খোলার অনুমতি মেলে। ১১ আগস্ট থেকে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস, যানবাহন, বিপণিবিতান ও দোকানপাট ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে’ চালু করা অনুমতি দেওয়া হয়।