আইপিএলে মুস্তাফিজের দলে ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ

মুস্তাফিজুর রহমান কেমন আছেন? খুব একটা স্বস্তিতে থাকার কথা নয়! জাতীয় দল বাদ দিয়ে যেই আইপিএল খেলতে যাওয়ায় দেশের ভেতর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। সেই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও নিয়মিত সুযোগ মিলছে না। সবশেষ রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচসহ টানা তিন ম্যাচ সাইডবেঞ্চে বসে কাটিয়েছেন। তার পরিবর্তে খেলা প্রোটিয়া তারকা এনরিখ নর্কিয়া ফর্মে ফেরায় বাকি ম্যাচগুলোতেও মুস্তাফিজের দলে ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

অথচ কদিন আগেও দিল্লি ক্যাপিটালসের একাদশে মুস্তাফিজের নাম থাকা ছিল প্রায় নিশ্চিত। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে যাওয়ার পর কোয়ারেন্টানের কারণে দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি। এরপর নেমেই গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৩ উইকেট। উড়ন্ত শুরুর পর প্রথম বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভালো বোলিং করে দলে জায়গা পাকাপোক্ত করেছিলেন কাটার মাস্টার। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বোলিংয়ের ধারও কমেছে তার।
এখন পর্যন্ত ৮টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সেগুলোর পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত বল করলেও রিদম ধরে রাখতে পারেননি ফিজ। শেষ দিকে গিয়ে প্রচুর রান দিয়েছেন, বিনিময়ে খুব বেশি উইকেটও পাননি। ৩২ ওভারে ৭.৬২ ইকোনমিতে ৮ উইকেট শিকার করেছেন মুস্তাফিজ। অবশ্য আইপিএলে মুস্তাফিজ ২০১৬ সালের পর কখনোই ম্যাচপ্রতি ১ উইকেটের বেশি পাননি। ২০১৬ সালে সবাইকে চমকে দেওয়ার বছরেও ১৬ ম্যাচে তার ১৭ উইকেট ছিল।
মুস্তাফিজকে কেন টানা তিন ম্যাচ বসিয়ে রাখা হয়েছে? এর পেছনে বড় ভূমিকা থাকতে পারে আইপিএলের দলগুলোর নতুন চিন্তাধারার। খেয়াল করলেই দেখা যাবে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরে প্রতিটি দল দেশীয় তরুণ পেসারদের ওপর জোর দিয়েছে। এছাড়া অনেক দলেই এখন দেশি বাঁহাতি পেসার আছে। শুধু বাঁহাতি পেসার খেলাতে হবে, এই যুক্তিতে যেন কোনো বিদেশি কোটা পূরণ না হয়ে যায়, সেটা নিশ্চিত করতেই এ ব্যবস্থা।
এই কারণেই মুস্তাফিজের সঙ্গে দেশি দুই বাঁ-হাতিকেও কিনেও রেখেছিল দিল্লি। মুস্তাফিজের সাবেক রাজস্থান সতীর্থ চেতন সাকারিয়া ছাড়াও দলে নেওয়া হয়েছে খলিল আহমেদকে। টাইগার পেসারের তুলনায় খলিলের পারফরম্যান্স বরং আরও উজ্জ্বল। মাত্র ৭ ম্যাচে ৭.৮৫ ইকোনমিতে দিল্লির এ পেসার নিয়েছেন ১৪ উইকেট।
দিল্লির একাদশে বিদেশি ক্যাটাগরিতে ডেভিড ওয়ার্নার আর মিচেল মার্শের জায়গা নিশ্চিত। বাকি দুই জায়গার লড়াইয়ে এতদিন টিকেছিলেন মুস্তাফিজ। তবে এনরিখ নর্কিয়া ইনজুরি কাটিয়ে ফর্মে ফেরায় আবারও সাইডবেঞ্চে চলে যেতে হয়েছে মুস্তাফিজকে। এছাড়া কোটার আরও এক জায়গা পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন বেশ কয়েকটি ম্যাচে স্লগ ওভারে দুর্দান্ত খেলা রভম্যান পাওয়েল।

এদিকে, সবশেষ ম্যাচে বুধবার (১১ মে) রাজস্থানের বিপক্ষে হারলেই প্লে অফের আশা শেষ হয়ে যেত দিল্লির। সেই ক্ষেত্রে বাকি থাকা দুই ম্যাচে মুস্তাফিজের আর সুযোগ মিলতো কি না সন্দেহ। তবে কালকের ম্যাচে জয়ে এখনো আশা টিকে আছে দিল্লি। তবে একাদশে ফেরার আশা ক্ষীণ মুস্তাফিজের।