আগামীকাল ১৬ জেলার মানুষের এক সাথে ঈদযাত্রা বড় চ্যালেঞ্জ : ডিআইজি

ঈদে আগামীকালের চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। উত্তরমুখী যাত্রাটাই আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম।

বুধবার বিকেলে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে আশুলিয়ার বাইপাইলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, উত্তরমুখী মানুষের সংখ্যা অনেক বেশী। ১৬ টা জেলার মানুষ এক সাথে যাত্রা করবেন। একই সাথে টাঙ্গাইল জামালপুরের প্রচুর সংখ্যক মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। এই মানুষ গুলোর বিরাট একটা অংশ যারা কর্মজীবি না অথবা সরকারি কর্মজীবি তারা কিন্তু গতকাল কিংবা গত পরশুদিন থেকেই যাতায়াত শুরু করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আগামীকাল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে গার্মেন্টস ছুটি হওয়ার পরে একযোগে মানুষ সড়কে নামবে এবং তারা গ্রামে ফিরবে। তবে সে ব্যবস্থাটাও আমাদের রয়েছে। আমরা সার্বক্ষনিক সড়কে রয়েছি। আমরা সিনিয়র কর্মকর্তারা মনিটরিং করছি কন্টিনিউসলি।

‘গত পরশু থেকে মুলত মানুষের ঈদমুখী যাত্রা শুরু হয়েছে। এবং এখন পর্যন্ত নিরাপদে নির্বিঘ্নে মানুষ বাড়ি ফিরছেন। যানজট এখন পর্যন্ত কোথাও হয় নি। আমরা আশা করি ঈদের আগ পর্যন্ত কিংবা ঈদ শেষ করে বাড়ি থেকে মানুষ যখন ঢাকায় ফিরে কর্মে যোগদান করবে তখনও হবে না।’

তিনি বলেন, ‘মাননীয় ইন্সপেক্টর জেনারেল স্যার আজ আজকেও মুভ করছেন রেল স্টেশনে গেছে আহামীকাল তিনি এই সড়কে আসবেন, স্বচক্ষে দেখবেন মনিটর করবেন যাতে করে মানুষ স্বাচ্ছন্দে বাড়ি ফিরতে পারে এবং নিরাপদে কর্মস্থলে যোগ দিতে পারেন’

সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে যেহেতু এলিভেটেড এক্সপ্রেসের কাজ চলছে, সড়কটিও সরু সেজন্যে আমরা আব্দুল্লাহ পুর থেকে পরিস্থিতি বুঝে গাড়ি ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়া যেসব জায়গায় যানজটের শঙ্কা রয়েছে সেসব জায়গায় আমরা অতিরিক্ত ফোর্স রাখবো। এসময় বাংলাদেশের নাগরিক যারা এই সড়ক ব্যবহার করে বাড়িতে যাবেন তাদের ঈদের শুভেচ্ছা জানান। এসময় ঢাকা জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।