আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই-তালেবান নেতা আনাস হাক্কানির বৈঠক

আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তালেবান প্রতিনিধি দলের নেতা আনাস হাক্কানি।

বুধবার (১৮ আগস্ট) এক তালেবান কর্মকর্তা এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রোববার আফগান রাজধানী কাবুলের পতনের পর তালেবান যখন সরকার গঠন করতে যাচ্ছে, তখন এই খবর এসেছে। বৈঠকের সময়ে আফগান সরকারের প্রধান শান্তিদূত আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ ও সিনেটের সাবেক চেয়ারম্যান ফজল হাদিও উপস্থিত ছিলেন।

খবর এনডিটিভির।

হিজব-ই-ইসলামের প্রধান গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন আনাস হাক্কানি।

তালেবানের হাক্কানি নেটওয়ার্ককে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফগানিস্তানে বেশ কয়েকটি সামরিক হামলার জন্য এই নেটওয়ার্ককে দায়ী করা হচ্ছে।

গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ভবিষ্যত আফগান সরকারে হাক্কানি নেটওয়ার্ককে অন্তর্ভুক্ত করলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তা সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে।

এদিকে মানবিক কারণে আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিকে আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বুধবার (১৮ আগস্ট) ব্রিটেনভিত্তিক মিডলইস্ট আই এমন খবর দিয়েছে।

গত রোববার তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন হলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি।
এক বিবৃতিতে আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করছে যে, আমরা মানবিক কারণে আশরাফ গনি ও তার পরিবারকে স্বাগত জানিয়েছি।

এদিকে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর প্রধান নিক কার্টার বলেছেন, আফগানিস্তানে তালেবানকে নতুন সরকার গঠন করার সুযোগ দেওয়া উচিত। পশ্চিমারা কয়েক দশক ধরে বিদ্রোহীদের জঙ্গি হিসেবে উপস্থাপন করে আসলেও এবার তাদের আরও যৌক্তিক হিসেবে পাওয়া যেতে পারে।

ইসলামি আন্দোলনটির এক কর্মকর্তা বলেন, গত কুড়ি বছরের ছাঁচের বাইরে এসে তালেবান নেতারা বিশ্বের কাছে নিজেদের তুলে ধরবেন। এই দু’দশকে তালেবান নেতারা অনেকটা গোপনীয়তার সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন।

বুধবার (১৮ আগস্ট) সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন নিক কার্টার। এদিন কারজাইয়ের সঙ্গে তালেবানের বৈঠক হওয়ার কথা।
বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা কর্মীদের প্রধান আরও বলেন, আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের শান্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। তালেবানকে সরকার গঠনের সুযোগ দিতে হবে, যাতে তারা নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারেন।