আবাসিক হলগুলো খুলতে ইবি ছাত্র মৈত্রীর ৯ দফা দাবি

আবাসিক হলসমূহ বন্ধ রেখে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলসমূহ খোলার দাবি:

শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল সমূহ বন্ধ রেখে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলবে উল্লেখ করে সংবাদ বিবৃতি দিয়েছেন শাখা সভাপতি আব্দুর রউফ এবং সাধারণ সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ পাপ্পু।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আবাসিক সুবিধা ছাড়া পরীক্ষা গ্রহণ করলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হবে। এতে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের বিস্তার আরো ঘটবে। এছাড়াও প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত রেখে অনলাইনে সম্পন্নকৃত কোর্স সমূহের রিভিউ পাঠদান না করে চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান করেছেন নেতৃবৃন্দ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল আবাসিক হলসমূহ খুলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে ০৯ (নয়) দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।

* ক্যাম্পাসে প্রবেশের সাথে সাথে মেডিকেল সেন্টার থেকে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আবাসিক হলে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।
* পরীক্ষা শুরুর পূর্বে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
* নিয়মিত আবাসিক হল এবং পরীক্ষার হলসমূহকে জীবানুনাশক স্প্রে করতে হবে।
* হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।
* পরীক্ষা কক্ষের বাইরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
* শিক্ষার্থীসহ পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলকে বাধ্যতামূলকভাবে ফেস মাস্ক পরিধান করতে হবে।
* আবাসিক হলসমূহে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সামগ্রী সুলভ মূল্যে প্রাপ্তির নিশ্চয়তা করতে হবে।
* পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্য শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।
* হলের ডাইনিংয়ে খাবার পরিবেশনকারী সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে।

উপরোক্ত প্রস্তাবনা প্রদানের সাথে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হল চালু রেখে পরীক্ষা গ্রহণ করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি যেমন কমবে, তেমনই শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হবে। আবাসিক হলসমূহ বন্ধ রেখে পরীক্ষা গ্রহণ করলে প্রাণঘাতি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কোন শিক্ষার্থীর ক্ষতিসাধন হলে এর দায় কোনভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এড়াতে পারে না বলেও উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দ।