আমানসহ বিএনপির ২১৩ নেতাকর্মীর বিচার শুরু

ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নাশকতার পৃথক দুই মামলায় বিএনপির আমানউল্লাহ আমানসহ ২১৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে মামলা দুটির বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম রকিবুল হাসানের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। সেইসঙ্গে আগামী ২ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল জানান, এদিন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকে আদালতে হাজির করা হয়। বিচার শুরু হওয়া দুই মামলার একটিতে আসামির সংখ্যা ১৭৯ জন এবং আরেকটিতে ৩৪ জন।

এর মধ্যে একটি মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২ জুন বিকেলে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর সাকিনে মেঘু মিয়া মাতুব্বর হাফেজিয়া মাদ্রাসা এবং আমান জামে মসজিদে গোপনে ইফতারের আয়োজন করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেখানে আমান উল্লাহ আমান উপস্থিত হলে আয়োজন নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এ খবর পেয়ে সেখানে চেয়ারম্যান আয়নালসহ আওয়ালী লীগের ৩০ থেকে ৪০ জন উপস্থিত হন। এ সময় বিএনপির ৩০০ থেকে ৪০০ জন নেতাকর্মী পিস্তল, রিভলবার, ককটেল বোমা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। ককটেল বিস্ফোরণে চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন আহত হন।

এ ঘটনায় ওই বছরের ৪ জুন মামলা করেন হযরতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহের আলী। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর আমান উল্লাহ আমানসহ ১৮১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শাহ আলম।

আরেক মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর ১৮ দলের ডাকা সড়ক, রেল, নৌপথ অবরোধের অংশ হিসেবে নেতাকর্মীরা কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর এলাকায় গাড়িতে ভাঙচুর করে ও একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে পুলিশ বাধা দিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কেরামত আলী ২৮ নভেম্বর মামলাটি করেন। পরে ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই মামলাটি তদন্ত করে একই থানার উপপরিদর্শক অশোক কুমার ৩৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।