‘আমার স্বামী আরেকটি বিয়ে করতে চায়’

‘আমার স্বামী রাকিব পরকীয়ায় জড়িত। সে আরেকটি বিয়ে করার জন্য আমার কাছে অনুমতি চায়। অনুমতি না দেয়ার কারণে আমাকে নির্যাতন করে সে। একপর্যায়ে প্রতিবেশীরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই কথাগুলো বলেন স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ লাবনী খাতুন। বর্তমানে লাবনী ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঝিনাইদহ পৌরসভার চরমুরারীদহ গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। বুধবার বিকেলে কথা হয় লাবনীর সঙ্গে। লাবনী খাতুন বলেন, কয়েকবার স্বামীকে যৌতুকের টাকা দেন আমার গরিব বাবা। এতেও নির্যাতন কমেনি। আরেকটি বিয়ে করার জন্য আমাকে মারধর করা হচ্ছে।

লাবনীর বাবা আব্দুল মতলেব বলেন, দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেয়া ও স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ার কারণে আমার মেয়েকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্বামী আব্দুর রাকিব। বুধবার সকালে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে।

তিনি আরও জানান, ৭ বছর আগে একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেনের সঙ্গে লাবনীর বিয়ে হয়। তাদের সংসার ভালোই চলছিল। বিয়ের পর যৌতুক দেয়া হয়েছে মেয়ের সুখ-শান্তির কথা ভেবে।

মঙ্গলবার রাকিব যৌতুক হিসেবে এক লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় লাবনী বলে আমার বাবা গরিব মানুষ আর কোনো টাকা দিতে পারবে না। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে রকিব স্ত্রী লাবনীকে লাথি মারে এবং কিলঘুষি মেরে আহত করে। প্রতিবেশীরা এসে লাবনীকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। লাবনীর ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে।

ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ওসি এমদাদুল হত শেখ জানান, এ ব্যাপারে লাবনীর বাবা বাদী হয়ে বুধবার ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। তদন্ত করে স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।