‘আমি অন্যায় করিনি, বহিষ্কারের জবাব দেব’

বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারেক সালমানের বিরুদ্ধে মামলা করে কোনও অন্যায় করেননি বলে দাবি করেছেন আইনজীবী ওবায়েদ উল্লাহ সাজু। আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমি কোনও অন্যায় করিনি। আমি বহিষ্কারের জবাব দেব।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইউএনওকে আগে শোকজ করেছেন জেলা প্রশাসক। আমার কাছে ডকুমেন্ট আছে। আমি পরে মামলা করেছি। মামলা করা যদি আমার অপরাধ হয়, তাহলে জেলাপ্রশাসকও অপরাধ করেছেন।’

আইনজীবী ওবায়েদ উল্লাহ সাজু বরিশাল আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক। পঞ্চম শ্রেণির শিশু-শিক্ষার্থীর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে কার্ড ছাপানোয় উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইউএনও গাজী তারেক সালমানের বিরুদ্ধে মামলা করার অভিযোগে তাকে শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ওবায়েদ উল্লাহ সাজু করেন, ‘আমি সব সময়ই আওয়ামী লীগে ছিলাম। এখনও আছি। আমাকে যারা হাইব্রিড বলছেন, তারা কানকথা শুনে বলছেন, যারা চাটুকার বলছেন, তারা বলুন। এইচ টি ইমাম সাহেব না জেনে কথা বলেছেন, তা দুঃখজনক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি অন্যায়ের প্রদিবাদ করায় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে বহিষ্কার করেন, তাহলে আমার বলার কিছু নেই। আমার কাছে বহিষ্কারের কাগজ এলে আমি নেতাদের কাছে জবাব দেব।’

প্রসঙ্গত, আগৈলঝাড়া উপজেলার ইউএনও থাকার সময় গাজী তারেক সালমান স্বাধীনতা দিবসে শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে কার্ড ছাপান। বরগুনা সদর উপজেলায় বদলি হয়ে যাওয়ার পর ৭ জুন তার বিরুদ্ধে বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবিসহ মানহানির মামলা করেন অ্যাডভোকেট ওবায়েদ উল্লাহ সাজু। ওই মামলায় ১৯ জুলাই প্রথমে সালমানের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও পরে একই দিনে তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।