আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

বঙ্গোপসাগর থেকে আরেকটি বিশাল মেঘমালা বাংলাদেশের অর্ধেকেরও বেশি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেইসঙ্গে সাগরে তৈরি হয়েছে লঘুচাপ।

রোববার (০১ নভেম্বর) আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস বলছে, এই লঘুচাপের কারণে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন দিন তা চলবে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনায় বৃষ্টি বেশি হবে। ঢাকাসহ দেশের মধ্যাঞ্চলেও কমবেশি বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, তিন থেকে চারদিন ধরে প্রকৃতিতে কিছুটা উত্তাপ ফিরে এসেছিল, শীত শীত ভাবও কমে এসেছিল। শনিবার (৩১ অক্টোবর) থেকে আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যাওয়ায় আর রোদ কম হওয়ায় গরম কিছুটা কমেছে। বৃষ্টি ও মেঘের কারণে আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা কিছুটা কমবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। এই বৃষ্টি শেষ হলেই আস্তে আস্তে শীত নামতে শুরু করবে। হিমালয়ের হিমেল বাতাস বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। পর্যায়ক্রমে তা এই মাসের মধ্যে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। এছাড়াও লঘুচাপের কারণে দেশের উপকূলীয় এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ফলে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং কক্সবাজারকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহীনুর ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবারও (০২ নভেম্বর) দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। তারপর এই বৃষ্টির দাপট কমে আসবে। আস্তে আস্তে তাপমাত্রা কমে শীত পড়তে পারে।

লঘুচাপের কারণে দেশের উপকূলীয় এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ফলে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং কক্সবাজারকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।