‘ইইউ বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখতে চায়’

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিংক বলেছেন, ‘ইইউ বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখতে চায়।’

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর জাতীয় সংসদ কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে এসব কথা বলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

বলেছেন, ‘ইইউ বাংলাদেশের জন্য বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য।’

পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশ ও ইইউ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির পক্ষে মত দেন ইইউ রাষ্ট্রদূত।

তেরিংক বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানো উচিত।’ তিনি আরো বলেন, ‘ইইউ বাংলাদেশের বিশেষ করে শিক্ষা খাতের ক্ষেত্রে বড় উন্নয়ন অংশীদার।’

এ সময় ইইউ দূতের সঙ্গে থাকা জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোলটজ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিয়ে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে উঠছে।’

সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিপুল বাধা ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগ ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল এবং এ পুরোটা সময় প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে সামরিক শাসন চলেছে।’

আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর দেশের দ্রুত উন্নয়নের জন্য সবকিছু বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দেয় বলে জানান তিনি।

নির্বাচন নিয়ে আলাপকালে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে মোট ৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল এবং তখন বিএনপি ২৮টি ও জাতীয় পার্টি ২৪টি আসন পেয়েছিল।’ তিনি উল্লেখ করেন যে একাদশ সাধারণ নির্বাচনে জনগণ বিশেষ করে নারী ও তরুণ প্রজন্ম আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিশাল পরাজয় সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেখে মনে হয়েছে যে তারা নির্বাচনের প্রতি আদৌ আগ্রহী ছিল না।’

প্রধানমন্ত্রী ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন ও নির্যাতনের কথা স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী ইইউর বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিয়ে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ‘এমনকি তারা এখানে যৌথ উদ্যোগেও বিনিয়োগ করতে পারে।’

দেশের উন্নয়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের লক্ষ্য হলো তৃণমূল স্তরকে কেন্দ্র করে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা।’