ইন্দরের মৃত্যুতে সাবেক প্রেমিকাও শোকাহত

বলিউড অভিনেতা ইন্দর কুমার গতকাল শুক্রবার মারা গেছেন। হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪৩ বছর বয়সে পৃথিবী ছাড়তে হলো তাঁকে। যদিও খুব জনপ্রিয় কোনো তারকা ছিলেন না ইন্দর, কিন্তু বলিউডের অনেকের সঙ্গেই তাঁর বেশ সখ্য ছিল। মহাতারকা সালমান খানের খুব কাছের মানুষ ছিলেন তিনি। এই অভিনেতার অকালমৃত্যুতে বলিউডপাড়ার অনেকেই শোক প্রকাশ করেছেন। এই মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত ইন্দরের সাবেক প্রেমিকা ইশা কপিকারও। ভারতীয় পত্রিকা বোম্বে টকিজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ইশা ইন্দরের সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্যও জানিয়েছেন।

‘হাসিনা’ খ্যাত অভিনেত্রী ইশা কপিকার ও ইন্দর কুমারের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ১২ বছর। এরপর তাঁদের বনিবনা না হলে সম্পর্কটি ভেঙে যায়। যদিও তাঁরা একে অন্যের সঙ্গে কখনোই কথা বন্ধ করেননি। ২০০৯ সালে ইশা বিয়ে করেন হোটেল ব্যবসায়ী তিম্মি নারাংকে। একই বছর ইন্দরও দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সাবেক প্রেমিকের মৃত্যুসংবাদ শুনে ভেঙে পড়েন ইশা। সাংবাদিককে তিনি বলেন, ‘আমি একটু আগেই এই দুঃসংবাদটি পেলাম। আমি গভীর ভাবে শোকাহত। এ রকম মৃত্যু একেবারেই কাম্য নয়। ইন্দরের বয়সও তো কম। মাত্র ৪৩। খবরটা শুনে আমি তাই বিশাল ধাক্কা খেয়েছি। ওর স্ত্রী ও মেয়ের জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে। বিশেষ করে ইন্দরের স্ত্রী ও ভাই গোল্ডি সব সময় ওর পাশে থেকেছে।’

ইশা কপিকার আরও বলেন, ইন্দরের জীবনে অনেক চড়াই-উতরাই ছিল। তিনি নিজের ব্যাপারে একেবারেই দায়িত্বশীল ছিলেন না। কিছু বদ অভ্যাসই তাঁর অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী বলে জানান তাঁর সাবেক এই প্রেমিকা। ইশার ভাষ্য, ‘ইন্দর একজন প্রতিভাবান শিল্পী ছিল। কিন্তু নিজের হাতে সে তা নষ্ট করেছে। সে আরেকটু দায়িত্বশীল হলেই আজকের এই ঘটনাটি ঘটত না আর সে আমাদের সঙ্গে আরও কিছুদিন থাকতে পারত। আমাদের আসলে নিজের অভিভাবক, ভাই, বোন, স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানদের ব্যাপারে ভাবা উচিত। এতটা বেপরোয়া হলে চলে না।’

১৯৯৬ সালে ‘মাসুম’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডযাত্রা শুরু হয় ইন্দর কুমারের। এরপর ‘কাহি প্যায়ার না হো যায়ে’, ‘খিলাড়িও কা খিলাড়ি’, ‘পেয়িং গেস্ট’, ‘ওয়ান্টেড’সহ ২০টির মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়া তিনি জনপ্রিয় হিন্দি সিরিয়াল ‘কিউ কি সাস ভি কাভি বহু থি’-তে মিহির চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন। ইন্দর কুমারের জন্ম জয়পুরে। বেড়ে উঠেছেন কলকাতায়। মৃত্যুকালে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী পল্লবী এবং প্রথম সংসারের মেয়ে খুশিকে রেখে গেছেন।
সূত্র: বলিউড বাবল