ইবি শিক্ষিকাকে কটুক্তি: বহিষ্কৃত কর্মচারীর থানায় জিডি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিকার সাথে অসদাচারণ ও হুমকি প্রদানের অভিযুক্ত কর্মচারী জে. এম. ইলিয়াস নিরাপত্তা চেয়ে সোমবার (১৫ মে) ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন।

সাধারণ ডায়েরী বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষিকা উম্মে সালমা লুনার স্বামী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম একাধিকবার তাকে প্রাণ নাশের হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এছাড়াও তাকে হেলিকপটারে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া, চাকুরীচ্যুত করা, মঞ্জুরি কমিশন ও মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তার ক্ষতিসাধন ও ডিবি পুলিশ দিয়ে তাকে তুলে নেওয়ার হুমকি দেন। তিনি নিজেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি হিসেবেও পরিচয় দেন। এমতাবস্থায় তিনি এবং তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে।

জানা যায়, অভিযুক্ত কর্মচারী জে. এম.ইলিয়াস বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সেলের নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান। বিশ্ববিদ্যালয়ের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষিকা উম্মে সালমা লুনার বাসায় ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা হলে মুঠোফোনে তিনি কর্মচারী ইলিয়াসকে সমস্যার সমাধানের জন্য ফোন দেন। প্রথম দিন তিনি ফোন রিসিভ না করলেও গত শনিবার ফোন রিসিভ করেন। শিক্ষিকার রাউটার রিসেটাপ করে দেন। পরে শিক্ষিকা ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড জানতে চাইলে ইলিয়াস তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষিকা।

এর প্রেক্ষিতে ঐ শিক্ষিকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কর্মচারী ইলিয়াসকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে মঙ্গলবার (১৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্নারে অভিযুক্ত কর্মচারী নিজের নিরাপত্তা ও পাল্টা অভিযোগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সাংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত কর্মচারী তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগসহ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে তিনি দাবি করেন, ঐ শিক্ষিকার স্বামী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম কর্তৃক তাকে নানাভাবে হুমকি প্রদান ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ বিষয়ে ঐ শিক্ষিকার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম দোষ স্বাকীর করে বলেন, হুমকির বিষয়টি সত্য। প্রশাসন কোন শাস্তি দিলে আমি মাথা পেতে নিব।

সংবাদ সম্মেলনে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের মহাসচিব আতিয়ার রহমান, সহায়ক কর্মচারী সমিতিও সহায়ক কর্মচারী সমিতির (টেকনিক্যাল) নেতবৃন্দ, ইবি প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।