উন্নয়নের পোস্টার ছিনিয়ে নিল ‘মন্ত্রীর লোকজন’

চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এক নেতার উন্নয়ন প্রচারের পিকআপভর্তি পোস্টার ও বিলবোর্ড ছিনতাইয়ের অভিযোগ অভিযোগ ওঠেছে মন্ত্রীর লোকজনের বিরুদ্ধে।

রোববার দিবাগত রাতে চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট থেকে এসব পোস্টার-বিলবোর্ড ছিনতাই হয়।

সোমবার এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ চাঁদপুর সদর মডেল থানায় নিয়ে গেলেও গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।

অবশ্য সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইব্রাহীম খলিল বলেন, ‘আমার কাছে এমন কোনো অভিযোগ নিয়ে কেউ আসেনি। থানার কোনো লিস্টেও এমন কোনো অভিযোগের অস্তিত্ব নাই।’

অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এম ইসফাক আহসান। তিনি সরকারের উন্নয়ন প্রচারণার জন্য বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন করেছিলেন।

রোববার রাত ১০টার দিকে পিকআপভর্তি এসব বিলবোর্ড ও পোস্টার নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার পথে বাবুর হাট থেকে পিকআপসহ ছিনিয়ে নেয় বর্তমান এমপির কয়েকজন নেতাকর্মী।

এম ইসফাক আহসান বলেন, ‘চাঁদপুর থেকে পিকআপ গাড়িতে করে দুই হাজার পোস্টার, দেড়শ’ বিলবোর্ড মতলব উত্তর দক্ষিণে পাঠাচ্ছিলাম। সদর উপজেলার বাবুরহাটে পৌঁছার পর মতলব দক্ষিণ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আলী বাদল, মতলব দক্ষিণ থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আল আমিন ফরাজি, ছাত্রলীগ নেতা লাল শরীফ, উত্তর থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মিনহাজ, মতলব দক্ষিণ পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাইয়ুম ফরাজির নেতৃত্বে ২০-২৫টি মোটরসাইলযোগে প্রায় ৫০ জন লোক এসে পিকআপটিকে আটক করে মতলবে নিয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘পিকআপ ভর্তি এসব বিলবোর্ড-পোস্টার ছিনিয়ে নেয়া ছাড়াও মতলব যাওয়ার পথে যেখানেই আমার পোস্টার দেখেছে সবই তারা ছিড়ে ফেলেছে।’

এই মনোনয়ন প্রত্যাশী বলেন, ‘এ ঘটনার পর আমি বিষয়টি পুলিশ সুপার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। পুলিশ সুপার আমাকে বলেছেন, তিনি বিষয়টি দেখছেন। সংশ্লিষ্ট থানাকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। কিন্তু রাত ১২ পর্যন্তও পিকআপ গাড়ি এবং পোস্টার, বিলবোর্ড ফেরত পাইনি।’

সোমবার থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও তা গ্রহণ করেনি বলে জানান ইসফাক আহসান। এর আগেও গত ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন তারা ছিঁড়ে ফেলেছিল বলে অভিযোগ করেন ইসফাক।

চাঁদপুর-২ আসনে বর্তমানে এমপি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। অভিযুক্ত সবাই তারই অনুসারী বলে ইসফাক দাবি করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মতলব দক্ষিণ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আলী বাদল বলেন, ‘আমি স্পটে ছিলাম না। এসব বিষয়ে অবগতও না।’

মতলব দক্ষিণ ওসি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। বিষয়টি আমি শুনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’