একাত্তরের বিজয় বাঙালির অর্জনের প্রতীক : মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, একাত্তরের বিজয় বাঙালিজাতির অর্জনের প্রতীক। এ অর্জনের ৪৯ বছরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়িয়েছে, তা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে দেখছে। আগামী ২০৩০, ২০৪১, একাত্তর কিংবা ২১০০ সালে বাংলাদেশের অগ্রগতি কোথায় পৌঁছুবে সেই রূপকল্পও প্রণীত হয়েছে।

মন্ত্রী গতকাল বাংলাদেশ ডাক বিভাগের কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

তিনি ডাকঘরকে ডিজিটাল ডাকঘরে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশের আধুনিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা বাস্তবায়নে ডাক অধিদপ্তরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান। ডিজিটাল ডাকঘর বাস্তবায়নে কোনো অবহেলাও বরদাশত করা হবে না বলে মন্ত্রী হুশিয়ার উচ্চারণ করেন।

মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের মানুষও আগামী দশবছরে পাকিস্তানের উন্নয়নে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানে পৌঁছুনোর স্বপ্ন নিয়ে তাদের সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছেন। আগামী দশবছরে বাংলাদেশ কোথায় পৌঁছুবে সেটাও তারা জানে। বঙ্গবন্ধু লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করলেও লাহোর প্রস্তাবকে পাশ কাটিয়ে ৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান যে বাঙালির জন্য নয়, সেটা রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে উপলব্ধি করেছিলেন। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের পথপরিক্রমায় অর্জিত বিজয় ছিনিয়ে নিতে এদেশে পনেরো আগস্ট ঘটানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এখনও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর আঘাত হয়। তাঁকে বাঙালির হৃদয় থেকে কখনো মোছা যাবে না।

অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মো: সিরাজ উদ্দিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্ন-সচিব জেহসান ইসলাম. ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্তি মহাপরিচালক মো: হারুনুর রশিদ, ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মুসলেম হালদার, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান ভূইয়া বক্তৃতা করেন।