এক ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

ক্যারিয়ারের শুরুতে স্ট্রাইকার ছিলেন নাসির উদ্দিন চৌধুরী। এখন পুরোদুস্তর ডিফেন্ডার। পজিশন বদলালেও প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠানোর নেশা কাটেনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক এ জোয়ানের। গোল করছেন ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়ও। শুক্রবার করলেন আবাহনীর ‘চ্যাম্পিয়ন হওয়ার’ দুই গোলের প্রথমটি।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শেখ জামালকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই আরেকটি উৎসবে মাতলো আকাশী-হলুদরা। মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপের ট্রফিও ঘরে নিয়েছে ধানমন্ডির ক্লাবটি।

নাইজেরিয়ান সানডে ও এমেকার মতো প্রতিষ্ঠিত স্ট্রাইকার যখন শেখ জামালের গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ তখন নাসির উদ্দিন চৌধুরী আবাহনীকে এগিয়ে দেন প্রথমার্ধেই। চলমান লিগে আগে করেছেন ৫ গোল। কিন্তু এ ম্যাচের গোলটি যে স্মরণীয় হয়ে থাকবে নাসির উদ্দিনের কাছে।

ড্র করলে বা হারলে ঝুলে যেতো আবাহনীর ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের স্বপ্ন। এমন ম্যাচে নাসিরের বিশ্বস্ত মাথা আকাশী-হলুদদের নতুন উচ্চতায় উঠতে রাখলো অনন্য অবদান। এটি আকাশী-হলুদদের প্রিমিয়ার লিগের ষষ্ঠ শিরোপা। বাঁচা মরার ম্যাচে হেরে চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হলো শেখ জামালের।

আবাহনীর ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের প্রথম গোলটি আসে ২৩ মিনিটে। ডান প্রান্ত থেকে সোহেল রানার ক্রস বক্সে উড়ে এলে প্রথম পোস্টের পাশে দাঁড়িয়ে মাথার সংযোগ ঘটান নাসির উদ্দিন, ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় চ্যাম্পিয়নরা।

বিরতির সময় থেকেই পশ্চিম গ্যালারিতে কখনো ‘আবাহনী-আবাহনী’ কখনো ‘নাসির-নাসির’ স্লোগান শুরু করে আকাশী-হলুদ সর্মথকরা। ম্যাচ শেষে তারা ঘরে ফিরেছেন উল্লাস করতে করতেই। আবাহনীর ডাগআউট যখন ১-০ গোলের জয়ের উচ্ছ্বাসের প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সানডে। বাড়িয়ে দেয়া সময়ের শেষ মিনিটে (৯৫ মিনিট) গোল করেন এ নাইজেরিয়ান।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম তিন আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আবাহনী। তৃতীয় আসরে শেখ জামাল চ্যাম্পিয়ন হয় অভিষেকেই। পরের মৌসুমে আবাহনী ট্রফি উদ্ধার করলেও ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম আসরে থেকেছে শিরোপার বাইরে। নবম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে তারা আবারও পেলো শিরোপার স্বাদ।

আবাহনীর সামনে এখন আরেকটি হ্যাটট্রিক শিরোপার হাতছানি। হাতছানি মৌসুমে ট্রেবল জয়েরও। এ মাসেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা স্বাধীনতা কাপ। যেখানে আবাহনী তৃতীয় ট্রফি জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামবে।