‘এমএস রডের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে’

মাত্র দুই মাসে এমএস রডের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। এতে অবকাঠামো নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলজ কাজ বাধার পড়েছে।

শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি বিএসিসিএ।

এ সময় জানানো হয়, এই দাম বৃদ্ধির পেছনে উৎপাদনকারীদের যুক্তি হল, করোনাভাইরাসে কারণে রড তৈরির উপাদান স্ক্রাপ আমদানি ব্যাহত হওয়ায় চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে উৎপাদন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এর সঙ্গে রয়েছে পরিবহন সংকট।

সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এমএস রডের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করা হচ্ছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এস এম খোরশেদ আলম বলেন, যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ কাজে দরকারি উপকরণের মধ্যে রডের প্রয়োজন হয় ২০ থেকে ২৫ ভাগ। হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ খাতের ব্যয় আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। এতে করে চলমান উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

দুই মাস আগে এক টন এমএস রডের দাম ছিল ৪৯ থেকে ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে এক টন এই রডের দাম ৬৮ হাজার টাকা। এতো অল্প সময়ে একটি উপকরণের দাম এতো বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলে দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে এমএস রডের বার্ষিক চাহিদা ৬০ লাখ মেট্রিক টন; যেখানে এই সংগঠনের সদস্যরাই নির্মাণ কাজে মোট চাহিদার অর্ধেক ব্যবহার করে থাকে।

এমএস রডের দাম বাড়লে নির্মাণখাতে দরকারি অন্যান্য উপকরণের দামও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কার কথা জানানো হয়। আর এভাবে রডের দাম বাড়তে থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে অবকাঠামোসহ দেশের সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ মুখ থুবড়ে পড়বে বলেও শঙ্কার কথা জানানো হয়।

বর্তমান অবস্থা তুলে উন্নয়ন কাজ চলমান রাখতে পিপিআর বিধান অনুযায়ী সব কাজে মূল্য সমন্বয় (প্রাইস আডজাস্টমেন্ট) পদ্ধতি চালুসহ সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

তবে, যৌক্তিক কারণে দাম বৃদ্ধি হলে তা তারা মেনে নিবেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।