এমডব্লিউইআরের প্রস্তাব : শিক্ষা ও কর্মসংস্থানকে প্রাধান্য দিতে ১৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট দরকার

আসন্ন জাতীয় বাজেটে শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানকে প্রাধান্য দিতে ১৭ লাখ ৬০ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকার জাতীয় স্বপ্নবাজেট প্রস্তাব করেছে মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস (এমডব্লিউইআর)।

শনিবার (২৭ মে) দুপুর ১২টায় রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাব করেন এমডব্লিউইআরের আহ্বায়ক ফারুক আহমাদ আরিফ, বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক এনায়েত উল্লাহ কৌশিক, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সহকারী সম্পাদক জাহিদ রাকিব, শুভাকাঙ্ক্ষি সারোয়ার সরদার ও মারুফ সরকার প্রমুখ।

‘বিনিয়োগ চাই মানুষে, কাজ প্রতিটি হাতে’ প্রতিপাদ্যে ৪০টি মন্ত্রণালয়কে ১৭টি বিভাগে ভাগ করে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য পরিচালন ব্যয় ধরা হয় ৪ লাখ ৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা ও উন্নয়ন ব্যয় ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। বিশেষভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ৫ লাখ ১০ হাজার ৪৩১ কোটি টাকায় ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা উল্লেখ করেন আরিফ।

তিনি বলেন, বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ৭ দশমিক ৬ শতাংশ, মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশ এবং করমুক্ত আয়ের সীমা বার্ষিক ৬ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেটে আয়ের খাতসমূহ হলো- জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত করসমূহ হতে ১০ লাখ ৭০ হাজার ২২৫ কোটি টাকা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত করসমূহ হতে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ২০১ কোটি টাকা ও কর ব্যতীত প্রাপ্তি ৩ লাখ ৭ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। সর্বমোট ১৭ লাখ ৬০ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা।
আরিফ বলেন, ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ৪০টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কৃষিতে ২৫ লাখ, যুব ও ক্রীড়ায় ২৩ লাখ, (সমুদ্রবিষয়ক) মৎস ও প্রাণিসম্পদ, নৌপরিবহন, পরিবেশও বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে ১৭ লাখ, প্রবাসী কল্যাণে ১৫ লাখ, শ্রম ও কর্মসংস্থানে ১০ লাখ, স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়নে ৭ লাখ, অর্থে ৩ লাখ, আইসিটিতে ৩ লাখ, শিল্পে ২ লাখ বাকি মন্ত্রণালয়গুলো মিলে ৫ লাখ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ ৭ বছর ধারাবাহিকভাবে এ কাজ করা সম্ভব হলে দেশের সকল শিক্ষিত-ঝরেপড়া-নিরক্ষর মানুষের শতভাগ কর্মসংস্থান নিশ্চিত হতে পারে।

তা ছাড়া বাংলাদেশ শিক্ষা ব্যাংক ও স্বাস্থ্য ব্যাংক এবং নৌ, পানিসম্পদ, মৎস্যসম্পদ ও সমুদ্র নিয়ে আলাদা সমুদ্রবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানান এনায়েত উল্লাহ কৌশিক। একইসঙ্গে বিশেষ অর্থনৈতিক জোনগুলোতে অঞ্চলভিত্তিক কার্যক্রমে প্রাধান্য দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রস্তাবও দেন তিনি।
পরিবেশের ওপর ‍গুরুত্ব দিতে জোর দেন সারোয়ার সরদার। বলেন, রাষ্ট্রকে টিকে থাকতে হলে পরিবেশ ও কৃষিকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন ও ব্যবস্থা নিতে হবে।