এ যেন আরেক রাম রহিম! প্রতি রাতে সুন্দরী তরুণীকে শারীরিক নির্যাতন

এ যেন আরেক রাম রহিমের সন্ধান মিলেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি আশ্রমে। আট মাস ধরে এক সুন্দনী তরুণীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওই আশ্রম থেকে এক কথিত ধর্মগুরুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উত্তর প্রদেশের মিশরিকে সিয়া রাম দাসের আশ্রমে আট মাস বন্দি থেকে নির্যাতিত হওয়া ওই তরুণীর অভিযোগেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে বলে সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।

স্বঘোষিত ওই ধর্মগুরুর কাছে তরুণীর এক আত্মীয় ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে বিক্রি করে দেন বেশ আগে। তারপরই তিনি যেন আশ্রমের কেনা সম্পত্তি হয়ে ওঠেন। তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, এই আট মাস ধরে প্রতি রাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। শুধু সিয়া রাম দাসের লালাসর শিকারই নয়, কেনা সম্পত্তি মনে করে বাবা ভোগের জন্য শিষ্যদের হাতেও তুলে দিত তাকে। ফলে যথেচ্ছ নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাকে।

কোনওক্রমে একদিন তরুণী নিজের ফোনটি পান। সেখান থেকে পুলিশকে ফোন করে তার অবস্থার কথা জানান। সংবাদ প্রতিদিন বলছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ আরেক রাম রহিমের সন্ধান পান। আশ্রম বানিয়ে লোকের চোখকে ধুলো দিয়ে ধর্মগুরু ভেকধারী বাবার সেই যথেচ্ছ গল্প। এমনকী সিয়া রাম দাস ব়্যাকেট চালাত বলেও অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশকে ওই তরুণী জানিয়েছেন, রাম দাস বাইরে একটি গার্লস স্কুল খুলেছে। সে স্কুলের নিয়ন্ত্রণ তার হাতেই। ওই স্কুল থেকেই নাবালিকা কন্যাদের ভোগের জন্য পাঠানো হত বিভিন্ন নেতাদের কাছে। ফলে রাজনৈতিক মহলেও বাবার বিশাল প্রভাব।

তিনি জানান, সেই কারণেই কেউ টুঁ শব্দটি করতে পারে না। নিয়মিত নির্যাতনের পর সাহস দেখিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তরুণী। ফলে আরও এক ভণ্ড বাবার পর্দা ফাঁস হল। দুই শিষ্যাকে শারীরিক নির্যাতনের মামলায় সম্প্রতি ২০ বছরের কারারদণ্ড দেওয়া হয় বিতর্কিত ধর্মগুরু রাম রহিম সিংকে। তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।

একে একে বের হয়ে আসছে রাম রহিমের অজানা অনেক তথ্য। পালিত কন্যা হানিপ্রীতের সঙ্গেও নাকি তার শারীরিক সম্পর্ক ছিল- এমন খবরও পাওয়া গেছে। তবে রাম রহিম নিজেকে শারীরিকভাবে অক্ষম দাবি করে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন।