নরসিংদীর রায়পুরা মরজাল সহ ৬টি উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন, কাটায় ব্যস্ত কৃষকরা

নরসিংদী রায়পুরা মরজাল সহ ৬টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪০১ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা। আবাদকৃত জমি থেকে প্রায় ১২ লাখ ৬০ হাজার ১০৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কৃষকরা ফসল কাটায় ব্যস্তপ্রায় ৭০ ভাগ ফসল কাটা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।

জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে কৃষকরা বিগত মৌসুমের তুলনায় বেশি বোরো ধান চাষ করেছেন। এবার প্রায় ১২ লাখ ৬০ হাজার ১০৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি জানান, শনিবার পর্যন্তনরসিংদী জেলার মরজাল সহ ৬টিউপজেলায় শতকরা ৭০ ভাগ ফসল কাটা সম্পন্ন হয়েছে। প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে আগামী একসপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা সম্পন্ন হবে।

স্থানীয়রা জানান, এবার প্রত্যেকটি গুদামে নির্ভেজাল ধান উঠেছে। অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় ধানও বেশি হয়েছে।
উৎপাদিত ফসলের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বেশি ধান ক্রয় করেছে খাদ্য বিভাগ।

এদিকে রায়পুরা উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের কৃষক বিল্লাল মিয়া সংবাদকর্মী রুদ্রকে জানান, এবার বোরো ধান করে আমরা খুবই আনন্দিত। ঝড় বৃষ্টি কম হওয়ায় আমরা দ্রুত ফসল কেটে ঘরে নিতে পারছি। ধানগুলো একসাথে সিদ্ধ করে আমরা বিক্রি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এরকম ৩/৪ দিন থাকলে ধান কাটা খুব সহজ হবে।
এদিকে চরমরজাল এলাকার কৃষক মোঃ আইনুল মিয়া বলেন, এবার আমার ক্ষেতে প্রচুর বোরো ধানের ফলন হয়েছে। কিন্তুু শ্রমিকদের মজুরী দৈনিক ৫/৭০০ টাকা হওয়ায় কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। কিন্তু শ্রমিকদের দিন দিন মজুরী বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।

এদিকে রায়পুরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোবাইল ফোনে জানান, চাহিদার তুলনায় ব্যাপক হারে বোরো ধানের ফলন হয়েছে। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। কৃষকদের আমরা নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছি। কৃষকরা সে মোতাবেক চাষ করছে বলেই এমন বাম্পার ফলনের রেকর্ড হয়েছে।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, জেলা প্রশাসন কৃষকদের পাশে রয়েছে। ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে প্রশাসন প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে।