ওমিক্রন আরও বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়লে বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা বাসায় বসে অনলাইন ক্লাস করবে। তার সঙ্গে নিয়মিত অ্যাসাইনমেন্ট কাজ দেওয়া হবে। এর আগ পর্যন্ত সশরীরে পাঠদান বন্ধ করে দেওয়ার কোনো চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে না। করোনাভাইরাস ইস্যুতে এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে ভাবছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের একটি অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সে কারণে এখনই শিক্ষার্থীদের সশরীরে পাঠদান বন্ধ রাখা হচ্ছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়লে বন্ধ রেখে অনলাইন ক্লাস-অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। ২-১ দিনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসব।

দীপু মনি বলেন, জীবনযাপন যতখানি সম্ভব স্বাভাবিক রেখে করোনা মোকাবিলা করতে চাই। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যদি করোনার সংক্রমণ বাড়ার কারণে ক্লাস নেওয়া সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে তো অনলাইন ক্লাসে যেতেই হবে। এখনো আমরা অনলাইন ক্লাস-অ্যাসাইনমেন্ট চালু রাখছি যাতে কেউ পিছিয়ে না পড়ে। তবে যেখানে অনলাইন ক্লাস সম্ভব না, সেখানে অ্যাসাইনমেন্ট চালু থাকবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে আমরা দেখি, কতটা পরীক্ষা হচ্ছে, তার মধ্যে কতটা পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে। ওমিক্রনকে অনেকেই হালকাভাবে নিচ্ছেন। তবে ভুলে গেলে চলবে না আমাদের দেশে ওমিক্রনের চেয়ে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। কাজেই আমাদের স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে।

এ সময় তিনি জানান, ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সোমবার পর্যন্ত ৮৫ লাখ শিক্ষার্থী ভ্যাকসিনেশনের আওতায় এসেছে। আমরা নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মনিটরিং করছি। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আগামী দু-একদিনের মধ্যে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করা হবে।