ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা নিহত

আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের ছেলে ও তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি হামজা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটন। দেশটির ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তার বরাতে বুধবার (৩১ জুলাই) রাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে। তবে কোথায় কিভাবে হামজা বিন লাদেন মারা গেছেন এবং এ ঘটনার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ না শর্তে ঊর্ধ্বতন ওই তিন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, সন্ত্রাসী নেতা ও আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেনকে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ওয়াশিংটনের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছে। তবে তার (হামজা) মৃত্যুর পরিস্থিতি বা আমেরিকার জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট নয়।

কয়েক বছর ধরে হামজা তার বাবার হত্যার প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোতে হামলা করার জন্য অনুসরণকারীদের আহ্বান জানিয়ে অডিও ও ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে আসছিলেন। ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে গোপন আস্তানায় মার্কিন নৌবাহিনীর এক কমান্ডো অভিযানে নিহত হন। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলার দায় স্বীকার করেছিল আল-কায়েদা। ওই ঘটনায় প্রায় ৩ হাজার মানুষ নিহত হয়।

ছেলে হামজাকে খুব অল্প বয়সেই ওসামা বিন লাদেন জিহাদি ধারণা দেওয়া শুরু করেন। ২০০৫ সালে আল-কায়েদার প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, আফগানিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর আক্রমণে অংশ নেওয়া জঙ্গিদের মধ্যে হামজা উপস্থিত ছিলেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর।

এদিকে হামজাকে ধরতে তার বিষয়ে কেউ তথ্য দিতে পারলে তাকে ১০ লাখ ডলার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগ। গত মার্চে দেওয়া ওই ঘোষণার চার মাসের মাথায় হামজার মৃত্যুর খবর জানানো হলো। ত্রিশ বছর বয়সী হামজা বিন লাদেনকে দুই বছর আগে সন্ত্রাসীদের কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র।

হামজা বিন লাদেন সবশেষ ২০১৮ সালে বিবৃতি দিয়েছিলেন। ওই বিবৃতিতে তিনি সৌদি আররে আক্রমণ করার হুমকি দিয়েছিলেন এবং সৌদি রাজতন্ত্রকে উৎখাত করার আহ্বান জানিয়েছিল। হামজা বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে আল-কায়েদার অনুসারীদের যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইসরায়েলে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। আর দীর্ঘদিন আড়ালে থাকা ওসামা বিন লাদেনের এ উত্তরাধিকারের সবশেষ খবরটি এলো মারা যাওয়ার।