কমরেড মেহেদী ছিলেন মানুষের সেবায় নিয়োজিত এক প্রাণ

ভাষা সৈনিক ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের নেতা প্রয়াত কমরেড নূরুল হক মেহেদীর স্মরণসভায় বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, রাজনীতিতে কালো ও বিদেশি প্রভাব মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পুরোধাব্যক্তি, তেল-গ্যাস-বিদ্যু-বন্দর নিয়ে বিদেশি চক্রান্তের বিরুদ্ধে জাতীয় আন্দোলনের প্রধান উদ্যোক্তা কমরেড মেহেদী ছিলেন মানুষের সেবায় নিয়োজিত এক প্রাণ। কখনো কোনো ক্ষমতার মোহে নিজেকে আবদ্ধ করেননি তিনি।

সোমবার (১১ অক্টোবর) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত কমরেড নূরুল হক মেহেদীর ৬ষ্ট মত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্ নাগরিক স্মরণ মঞ্চ আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্মরণ মঞ্চের সমন্বয়কারী ও এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করবেন জাসদ উপদেষ্টা এনামুজ্জামান চৌধুরী, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলম, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, গরিবী হটাও আন্দোলন সভাপতি ছায়েদুল হক লিটন, সাধারন সম্পাদক মিতু ইসলাম, মো. খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।

গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, দেশপ্রেমিক রাজনিতিক ও গরীব মুক্তি আন্দোলনের নেতা কমরেড নুরুল হক মেহেদী আজীবন দুর্নীতি আর কালো টাকার বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার। জমিদার পরিবারের একজন সন্তান সারাটা জীবনে কাটিয়ে দিল একটি শোষণমুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মধ্য দিয়ে।

তিনি বলেন, ক্ষমতার রাজনীতি কমরেড মেহেদীকে টানতে পারেনি। মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর আদর্শ থেকে নিজেকে দূরে সরাতে পারেনি তিনি। সাম্রাজ্যবাদ আর আধিপত্যবাদ বিরোধী রাজনীতি এবং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে প্রথম সারিতেই থাকতেন তিনি।

এনামুজ্জামান চৌধুরী বলেন, কমরেড মেহেদীর চলে যাওয়ায় যে ক্ষতি হয়েছে তা সহজে পূরণীয় নয়। তার চলে যাওয়ায় আমরা হারিয়েছি একজন অভিভাবকে। তিনি যেকোন মুহূর্তে যতই ব্যস্ত থাকতেন তবুও সবার সাথে কুশল বিনিময় করতেন। সব সময় আমাদের খোঁজ খবর নিতেন। কমরেড মেহেদী বাংলাদেশের রাজনীতির এক উজ্জল নক্ষত্র ছিলেন।

হামদুল্লাহ আল মেহেদী বলেন, কমরেড মেহেদী ছিলেন বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার একজন লড়াকু সৈনিক। কমরেড মেহেদী ছাত্রজীবন থেকেই প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সাধারণ মানুষের মুক্তির আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে জনগনের মুক্তির আন্দোলনে প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন কমরেড মেহেদী। দেশের সকল স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও তিনি ছিলেন সক্রিয়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে তার সোচ্চার ভূমিকা আজকের প্রজন্মকে লড়াই-সংগ্রামে অনুপ্রাণীত করবে।