কমিউনিটি ক্লিনিকে সুযোগ-সুবিধা না বাড়ালে কঠোর কর্মসূচি

বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে সারা দেশের ১৪ হাজার ২২৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত ‘কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি)।

তারা বলছেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বেতন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। না হলে সংবাদ সম্মেলন করে প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রোভাইডার’ (বিসিএইচসিপি) কেন্দ্রীয় সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তারা এ কথা বলেন।

সভায় বক্তারা বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত ১৩ হাজার ৯০০ জন সিএইচসিপি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। এই সেবা বিশ্ব দরবারে রোল মডেল হিসিবে পরিচিতি পেয়েছে।

সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ সভার রেজুলেশনে কমিউনিটি ক্লিনিকের অভাবনীয় সাফল্যে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক দ্যা শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ স্বীকৃতি পেয়েছে।

দুঃখজনক হলো গত ১২ বছর ধরে জনগনের স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত সিএইচসিপিদের এক টাকাও বেতন বাড়েনি। নেই কোন ইনক্রিমেন্ট। ভবিষ্যত সুরক্ষা বলতেও কিছু নেই। এমনকি প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধসহ ক্লিনিক পরিচালনায় আনুষাঙ্গিক খরচও সিএইচসিপিকে নিজের পকেট থেকে খরচ করতে হয়। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।

তারা জানান, কমিউিনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে চাকরি রাজস্বকরণের জন্য কর্তৃপক্ষ বারবার মৌখিক এবং লিখিতভাবে আশ্বাস দিলেও বাস্তয়ন হয়নি। হতাশ সিএইচসিপিরা ২০১৭ সালে চাকরি রাজস্বকরণে হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট রাজস্ব খাতভুক্ত করতে আদেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে ট্রাস্ট আইন পাশ হয়েছে।

কিন্তু আজ পর্যন্ত ট্রাস্টের কোনো সুযোগ-সুবিধা কার্যকর করা হয়নি। আমরা অনতিবিলম্বে সব সুবিধা কার্যকর করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তা নাহলে দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিসিএইচসিপি কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। সভাটি সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নঈম উদ্দিন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রায়হান আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকরাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ হাসিব রেজা, ঢাকা বিভাগের সভাপতি আব্দুল মালেক ভুইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক দানিয়েল বাশার রুমেল, রাজশাহী বিভাগের সভাপতি ফেরদৌস হোসেন তুহিন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিফাত খান, খুলনা বিভাগের সভাপতি তরিকুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক হীরা খান ও তুরানী আক্তার, চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম স্বপন ও সাংগঠনিক সম্পদক জরিপ হোসেন আপন, ময়মনসিংহ বিভাগের আহবায়ক মাঈন উদ্দিন রাহাত, বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক মামুন শেখ, বরগুনা জেলা সভাপতি আল মামুন, আয়েশা সিদ্দিকা সুখী, হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি আব্দুর রশিদ, সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি তানজিল মিয়া, সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি রুবেল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন আহমদ ও নোয়াখালী জেলা সভাপতি নোমান সিদ্দিকী মোহন প্রমুখ।