কর্মকর্তা সমিতির সভাপতিকে লাঞ্ছনায় সম্পৃক্ততা নেই দাবি ইবি ছাত্রলীগের

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলমকে লাঞ্ছনার ঘটনায় ছাত্রলীগের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন শাখা ছাত্রলীগ।
একইসঙ্গে সমিতিটির সভাপতির দেওয়া বক্তব্যকে মিথ্যাচার, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর বলে দাবি করে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস কর্নারে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ দাবি করেন ছাত্রলীগ নেতারা।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত। পরে সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, মঙ্গলবার কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম তার বক্তব্যে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নাম জড়িয়ে যে মিথ্যাচার করেছে তা মানহানিকর। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশকে ঘোলাটে করা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ভ্যানগার্ড ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করার জন্যই তিনি এমন বক্তব্য প্রদান করেছে বলে আমরা মনে করি। তার এহেন বক্তব্যের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ইবি ছাত্রলীগের সফলতাকে বিতর্কিত করতে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-বিএনপির এজেন্টরা উঠেপড়ে লেগেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করার উদ্দেশ্যে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তাদের এই উদ্দেশ্যকে কোনদিন বাস্তবে রূপ দিতে দিবে না ইবি ছাত্রলীগ।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, তিনজন শিক্ষার্থী কাজের জন্য গেলে তাদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের হট্টগোল হচ্ছিল। আমি হট্টগোল শুনে সেখানে যাই এবং ওই শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নিয়ে আসি। আমি সেখানে ৩০ সেকেন্ডের বেশী অবস্থান করিনি। আমার নাম জড়িয়ে যে সব বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তা উদ্দেশ্যমূলক ও ভিত্তিহীন। কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি এসব বক্তব্য দিয়েছেন বলে আমার মনে হয়। আমি দাবি করবো তিনি তার বক্তব্য তুলে নিবেন এবং দুঃখ প্রকাশ করবেন।

এছাড়াও সংগঠনটির সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত সঠিক ঘটনা উদ্ঘাটনের দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, গতকাল কর্মকর্তাদের দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোলের সময় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একদল কর্মী উপস্থিত হয়ে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতিকে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ করে কর্মকর্তা সমিতি। সমিতির সভাপতি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তুলে নিয়ে পেটানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন। বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন কর্মকর্তারা।