কর্মক্ষেত্রে নিজেকে সুখী রাখার কিছু উপায়!

সুখ এবং কাজ- সব সময় হাতে হাত রেখে এগিয়ে চলে না। কর্মক্ষেত্রে সেটা আরও বেশ কঠিন। এ নিয়ে ১৮ মিলিয়ন লোকের ওপর ২০১৩ সালে পরিচালিত এক গবেষণায় জানা যায়, মাত্র ১৩ শতাংশ মানুষ হাসিখুশিভাবে তাদের কাজ করছে।

আর কর্মক্ষেত্রে যারা নিজেদের প্রফুল্ল রাখে বা হাসিখুশি থাকে তারা অন্যদের তুলনায় ৩৬ শতাংশ বেশি অনুপ্রাণিত থাকে, ছয়গুণ বেশি সক্রিয় থাকে এবং তারা অন্যদের তুলনায় দ্বিগুণ উৎপাদনশীল। চলুন জেনে নিই কীভাবে কর্মক্ষেত্রে নিজেকে সুখী রাখা যায়-

১. কর্মপরিবেশকে সহজ করে তুলুন :

কর্মক্ষেত্রে আপনি কতক্ষণ সময় দিবেন বা কিভাবে কাজ করবেন সেটা নির্ভর করে আপনার ওপর। কর্মক্ষেত্রে আপনার সুবিধামতো একটি স্থান বের করে নিন। আপনার পরিবারের একটি ছবি কিংবা গাছের ছবি অথবা আপনার অর্জিত কোনো পুরস্কার আপনার কর্মক্ষেত্রের আশেপাশে রাখুন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে এই ছবি বা পুরস্কার আপনাকে কিছু সময় অন্য জগতে নিয়ে যাবে। যা পরবর্তীতে আপনাকে কাজে মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। কঠিন ও উটকো ঝামেলা এড়িয়ে চলুন।

২. সহকর্মীকে সাহায্য করুন :

কর্মক্ষেত্রে আপনার সহকর্মীকে সাহায্য করুন। এটি শুধুমাত্র তাদেরকেই আনন্দিত করবেনা সেই সঙ্গে আপনাকেও মানসিক প্রশান্তি দিবে।

৩. হাসুন প্রাণ খুলে :

জার্মানির ম্যানহেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখানো হয় যে, আমরা আমাদের মুখভঙ্গি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমাদের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারি। আপনি যদি কৃত্রিম হাসি ও দিয়ে থাকেন তাহলেও সেটা আপনার কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ পরিবর্তন করে দিবে।

৪. নেতিবাচক লোকদের থেকে দূরে থাকুন :

নেতিবাচক চিন্তার মানুষ কিংবা অভিযোগকারী ব্যক্তিরা কর্মক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই নেতিবাচক লোকদের থেকে নিজেকে দূরে রেখেই এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

৫. রসিকতার অভ্যাস গড়ে তুলুন :

যখন আপনি আপনার কাজে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিমজ্জিত হবেন তখন আপনার সুখ এবং কর্মক্ষেত্রকে উপভোগ করার মাত্রা কমে আসবে। তাই কাজের মাঝে যেকোনো হাস্যরস এর বিষয়ে শামিল হন। রসিকতা করুন, হাসুন, সবার সঙ্গে মিশে যান। এতে করে সবার মনে এই ধারণার সৃষ্টি হবে যে আপনি নম্র এবং রসিক। সুখী মানুষের মনে হাস্যরস ও আত্মবিশ্বাসের সামঞ্জস্য থাকে।