কারাগারে বন্দী মায়ের সঙ্গে ৯ শিশুর ঈদ

নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী মায়ের সঙ্গে ১ থেকে ৬ বছরের কম বয়সী ৯ জন শিশুর ঈদ কেটেছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রতিবাবের মতো কারাকর্তৃপক্ষ এ বছরও বন্দীদের জন্য বিশেষ আয়োজনের ব্যবস্থা করেছেন।

সেই সঙ্গে তাদের জন্য করা হয়েছে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা। বন্দীদের আত্মীয় স্বজনরাও এসে দেখা করেছেন তাদের সঙ্গে। দিয়েছেন তাদের পছন্দের মতো খাবার।

ঈদের দিন থেকে ৩ দিন পর্যন্ত বন্দীদের স্বজনেরা বাসা থেকে রান্না করা খাবার দিতে পারবে বন্দীদের এমনটাই নিশ্চিত করেছেন কারাকর্তৃপক্ষ।

এদিকে, নারায়ণগঞ্জ কারাগারে বন্দীদের ধারণক্ষমতা মাত্র ২৫০ জনের। রোববার ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ কারাগারে বন্দী সংখ্যা বেড়ে ছিল ১ হাজার ৯৫৬ জনে দাঁড়ায়। যার মধ্যে ৭৪ জন নারী।

নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান জানান, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে কোনো ভিআইপি বন্দী নেই। সাধারণ বন্দী রয়েছে ১৯৫৬ জন। যার মধ্যে ৭৪ জন নারী।

শনিবার সকাল পৌনে ৯টায় বন্দীরাসহ সবাই ঈদের জামাতে অংশ নেয়। ঈদ উপলক্ষে বন্দীদের সবাইকে সকালে পায়েশ ও মুড়ি দেয়া হয়েছে। আর দুপুরে দেয়া হয়েছে পোলাও গরুর মাংস, সালাদ, মিষ্টি, ও কোমল পানীয়। আর ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল মুরগির মাংসের। রাতে দেয়া হয়েছে দেশীয় খাবার ভাত ও মাছ এবং আলুর ভর্তা।

আসাদুর রহমান আরও জানান, ঈদ উপলক্ষে বন্দীদের আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিনভর বন্দীদের আত্মীয়রা এসে তাদের স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এছাড়া আত্মীয়দের বাসা থেকে রান্না করে আনা খাবারও খাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে।

ঈদের তৃতীয় দিন অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত বন্দীদের আত্মীয়রা তাদের স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও রান্না করা খাবার দিতে পারবেন বলেও জানান জেলার আসাদুর রহমান।

আসাদুর রহমান বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে যেসব মালামাল কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করছে সেগুলো তল্লাশি করা হচ্ছে। তল্লাশি ছাড়া খাবারও ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, ঈদ উপলক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকে বন্দীদের নিয়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়। যার ফাইনাল রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সব বন্দীদের নিয়ে একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করা হয়েছে।