কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে পাকিস্তানের কড়া বার্তা

সংবিধানে কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দানকারী ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে ভারতে বিজেপি সরকার। গত কয়েকদিন ধরে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনার পারদ যেভাবে চড়ছিল তা থেকে অনুমান করা গিয়েছিল বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মোদি সরকার।

দুদিন ধরে বেশ কয়েক দফা উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের শেষে গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। এর পরই সংসদে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেন- জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে নিয়েছে ভারত সরকার। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তি তিনি পড়ে শোনান। এ ঘোষণার ফলে জম্মু-কাশ্মীর প্রায় ৭০ বছর ধরে যে বিশেষ স্ব-শাসিত মর্যাদা পেয়ে আসছিল তার অবসান ঘটতে চলেছে।

সেই সঙ্গে ভারত অধিকৃত কাশ্মিরকে ভেঙে আলাদা করে দেয়া হয়েছে লাদাখকে। এখন থেকে আলাদা দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ।

এদিকে হঠাৎ মোদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তে পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কঠিন বার্তা দিয়েছে ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, সোমবার ভারতীয় পার্লামেন্টের রাজ্যসভায় ৩৭০ ধারা বাতিল করায় পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মূখপাত্রের বরাতে ডন জানায়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব সূহাইল মাহমুদ ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়াকে ডেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

কাশ্মিরি জনগণের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল করে ভারত জাতিসংঘের কাশ্মির বিষয়ক নীতিমালা ভঙ্গ করেছে বলে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এ সময় কাশ্মিরে যে কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি থেকে বিরত থাকার জন্য রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ভারতকে সতর্ক করে পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভারতের বাড়াবাড়ির কারণে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পাকিস্তান কঠিন পদক্ষেপ নেবে বলেও হুঁশিয়ারি করা হয়।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের লড়াইয়ে কাশ্মিরি জনগণকে রাজনৈতিক,কূটনৈতিকসহ সর্বপ্রকারের সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দেন।

এর আগে কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের যে সিদ্ধান্ত ভারত সরকার নিয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান।