কিছু নাবালক ছেলে এখনো বিএনপিতে আছে: শাহজাহান ওমর

সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী সাবেক বিএনপি নেতা ঝালকাঠী-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম) বলেছেন, গত ২৯ নভেম্বর কারাগার থেকে বের হওয়ার পর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসন আমু এমপি তাকে আওয়ামী লীগে যোগদানের ব্যবস্থা করেছেন।

ওমর বললেন, ‘আমু ভাই আমাকে বিএনপিতে পাঠিয়েছিলেন, আবার তিনিই আওয়ামী লীগে ফিরিয়ে এনেছেন। তিনি বলেন, রাজাপুর-কাঠালিয়ার বিএনপির সবাই তার সঙ্গে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে। কিছু নাবালক ছেলে এখনো বিএনপিতে আছে, তাদের কিভাবে আনতে হয় সে ব্যবস্থাও তার জানা আছে।

বুধবার রাত সোয়া ৮টায় বরিশাল নগরীর বগুড়া সড়কে আমির হোসেন আমুর বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন ওমর। তার নির্বাচনী এলাকা রাজাপুর-কাঠালিয়া সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তবে এসব প্রসঙ্গ এড়িয়ে ব্যারিস্টার ওমর বলেছেন, কিভাবে বিএনপিতে গেলেন এবং আওয়ামী লীগে ফেরত আসার গল্প।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ’৭৪ সালে একটি মামলায় জড়িয়ে কারাগারে যাওয়ার পর তিনি সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হয়ে বিপদগ্রস্ত হন।

তখনকার সময়ে বরিশাল আওয়ামী লীগের নেতা নুরুল ইসলাম মঞ্জুর (প্রয়াত) সঙ্গে তার ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তখনকার মন্ত্রী আবদুর রব সেরনয়িাবাত (পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শহীদ), তার ছেলে বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এবং আমির হোসেন আমু তাকে সাহায্যে করেছিলেন। হাসানাত আবদুল্লাহ কয়েকবার তাকে কারাগারে দেখতে গেছেন।

তিনি বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে তার শিক্ষক ছিলেন।সেই পরিচয় সূত্রে বিএনপিতে গিয়েছিলেন। ’৯১-র নির্বাচনের আগে আমির হোসেন আমু তাকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। তখন শেখ হাসিনা জানান, তার বাবার (বঙ্গবন্ধু) বন্ধুর চিঠি নিয়ে এসেছেন আরেকজন। তাই তার জন্য কিছু করতে পারছেন না। তখন আমু আবার তাকে বিএনপিতে ফেরত যেতে বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আমু বলেন, জনগণ সম্পৃক্ত না থাকলে সেই আন্দোলন কখনো সফল হয় না। আওয়ামী লীগ হরতাল ডেকে ঘরে বসে থাকলেও সেই হরতাল পালিত হতো। এখন বিএনপির হরতাল-অবরোধে সবকিছুই স্বাভাবিক থাকে। এর কারণ জনগণ তাদের সঙ্গে নেই।