কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে শিশুসহ চারজনের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় বজ্রপাতে এক শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরের দিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে এই চারজন প্রাণ হারান।

কিশোরগঞ্জে নিহতরা হলেন- ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাটুইর গ্রামের রাখেশ দাসের ছেলে রুবেল দাস (২৬), মিঠামইন উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের গোলাপ মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন (২৩), একই উপজেলার কেওয়াজোড় ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (৭) ও পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কুর্শাকান্দা গ্রামের আয়াজ আলীর ছেলে আসাদ মিয়া (৫৫)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে শুক্রবার দুপুরের দিকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি ও ধমকা হাওয়া বয়ে যায়। এ সময় মাঠে কাজ করার সময় পাকুন্দিয়া, ইটনা ও মিঠামইনে তিন কৃষক ও মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়।

এদিকে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছ, রাতে খুলনা, সাতক্ষীরাসহ উপকূলে আঘাত হানতে পারে ফণী।

আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টি এখনও শক্তিশালী রয়েছে। উড়িষ্যা থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় কিছুটা দুর্বল হতে পারে। কিন্তু কতটা শক্তি হারাতে পারে, তা এখনই তারা ধারণা করতে পারছেন না।

ঘূর্ণিঝড় ফণী সারারাত খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল অঞ্চল, রাজশাহী, ফরিদপুর এবং ঢাকা হয়ে ভারতের মেঘালয়ের দিকে যেতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর বলছে।

এদিকে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ফণী ভারতের উড়িষ্যায় আঘাত হেনে পশ্চিমবঙ্গের দিকে যাচ্ছে, রাতে আঘাত হানবে বাংলাদেশের উপকূলে, সকল মাছধরা জেলে নৌকাকে সাগরে না যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তবে কর্মকর্তারা বলছেন, ফণী রাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও আজ দিনেই খুলনাসহ বিভিন্ন উপকূলে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। অনেক জায়গায় ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে এবং সারা দেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

ফণী বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করার সময় নিচু এলাকাগুলোতে চার থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।