কুমিল্লায় অস্ত্র হাতে কাউন্সিলরের নাচানাচি, ২টি ভিডিও ভাইরাল

কুমিল্লায় অস্ত্র নিয়ে কাউন্সিলরের নাচানাচি ও পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তির দু’টি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।

আলোচিত ওই কাউন্সিলরের নাম সাইফুল বিন জলিল। সে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

জানা যায়, কাউন্সিলর সাইফুল মহানগর যুবলীগ নেতা রোকন উদ্দিন রুকনকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টার করে। এ ঘটনার পর সে নগরীর চকবাজারের তেলিকোনা চৌমুহনী এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পে দুই হাতে দু’টি রামদা নিয়ে সঙ্গীদের সাথে নাচানাচি করেন। কেউ একজন ঘটনাটি মোবাইলে ধারণ করে ফেসবুকে আপলোড করলে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ তাকে আটক করতে গেলে অস্ত্র হাতে পুলিশের সাথে তার ধস্তাধস্তি হয়। এঘটনাটিও কেউ একজন মোবাইলে ধারণ করে ফেসবুকে আপলোড করলে এই ভিডিওটিও ব্যাপক ভাইরাল হয়।।

এদিকে, সাইফুলকে পুলিশ শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। যুবলীগ নেতা রুকনকে গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

রুকন কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

সূত্রমতে, গত সিটি নির্বাচনে একই ওয়ার্ড থেকে সাইফুল ও যুবলীগ নেতা রুকন কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনে পরাজিত হন রুকন। এরপর থেকে তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রুকন মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার সময় চকবাজার এলাকায় কাউন্সিলর সাইফুল তাকে গাড়ি চাপা দেন বলে অভিযোগ করেন রুকন। এতে রুকনের পা ভেঙ্গে যায়। এরপর একটি পেট্রোল পাম্পে দুই হাতে দু’টি রামদা নিয়ে নাচানাচি করেন কাউন্সিলর সাইফুল। ৫২ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায় তার পাশে রাম দা নিয়ে দুইটি শিশুও নাচানাচি করছে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চকবাজারের কাশারীপট্টি এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। এসময়ও তার হাতে ছিল একটি রামদা। এসময় সাইফুল অস্ত্র নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান। স্থানীয় এক ব্যক্তির ধারণ করা একটি ভিডিওতে সেটি ধরা পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, পুলিশের সদস্যরা কাউন্সিলর জলিলকে আটক করতে গেলে সে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তাকে বাগে আনতে পুলিশ তার উপর চড়াও হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সাইফুল।

কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল হক জানান, আহত রুকন বাদী হয়ে আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর সাইফুল বিন জলিল। তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।