কুমিল্লায় এনজিওর কিস্তি পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ

চলমান লকডাউনে এনজিওর কিস্তি আদায় অব্যাহত থাকায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে কিস্তি পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। করোনার পাদুর্ভাব বাড়ায় সরকার ঘোষিত লকডাউনে হাট-বাজারে মানুষ নেই। এতে নিম্ন আয়ের মানুষেরও আয় নেই। খেটে খাওয়া মানুষেরা হয়ে পড়ছেন বেকার। এমতাবস্থায় বিভিন্ন এনজিওর সাপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তির টাকা জোগাড় তো দূরের কথা, খাবার কেনার টাকা জোগাড়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক এনজিও নিয়মিত ঋণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এসব এনজিও থেকে হাজার হাজার মানুষ ঋণ সংগ্রহ করেছেন। লকডাউনে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঋণগ্রহীতারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

ভুক্তভোগীরা জানায়, কিস্তির টাকা না দিলে এনজিও কর্মীরা কিস্তির জন্য রাত অবধি বসে থাকেন, গালমন্দ করেন, হুমকিও দেন।

জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার শাকতলী এলাকার রিরশাচালক তিতু মিয়া জানান, করোনাভাইরাসের কারণে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করায় মানুষ ঘর থেকে কম বের হন। সারা দিনে রিকশা চালিয়ে যে টাকা উপার্জন হয় তাতে সংসারই চলেনা আবার কিস্তি দেব কোথায় থেকে।

নাঙ্গলকোট পৌর বাজারের মুদি দোকানদার শাখাওয়াত হোসেন জানান, হাটে লোকজন প্রয়োজন ছাড়া আসছে না। বেচাকেনা খুবই কম। এভাবে চলতে থাকলে সংসার চালানো খুবই কঠিন হবে।

নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুল বলেন, এনজিওগুলোর কিস্তি আদায় বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।