কুমিল্লায় গণমাধ্যমের গাড়ি দেখেই ভাংচুর করলেন ছাত্রলীগ নেতা

গণমাধ্যমের গাড়ি দেখেই ভাংচুর করলেন ছাত্রলীগ নেতা
। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় একাত্তর টেলিভিশনের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেতাকে শনাক্ত করা গেছে।

সোমবার (১৩ জুন) রাত ৯টার দিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন এটিএম বুথের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্বাচনের খবর সংগ্রহ করতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একাত্তর টিভিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা গাড়ি নিয়ে আসেন। ওই এলাকা কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ভেতরে পড়েছে। ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে গণমাধ্যমের গাড়িগুলো পার্ক করা ছিল। রাতে কয়েকজন যুবক একাত্তর টিভির গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক থেকে সরাতে বলেন। এ সময় চালক গাড়িটি সেখান থেকে সরিয়ে পাশের একটি এটিএম বুথের সামনে নিয়ে দাঁড় করান। এর কিছুক্ষণ পরই কয়েকজন এসে গাড়িটি ভাঙচুর শুরু করেন।

একাত্তরের গাড়ি চালক মো. আলামিন বলেন, এসময় আমি গাড়ির ভেতরে ছিলাম। কিছু ছেলে এসে আমাকে এক মিনিটের মধ্যে গাড়ি সরাতে বলতে বলতেই ভাঙচুর শুরু করে দেয়। আমাকে গাড়িটা সরানোরও সুযোগ দেওয়া হয়নি।

একাত্তরের সিনিয়র রিপোর্টার তানিয়া রহমান বলেন, আমি ৯টার খবরে নির্বাচনী লাইভে থাকার সময় কিছু ছেলে একাত্তর টিভিকে স্লেজিং (উত্ত্যক্ত) করছিল। আমি তাদের কথায় কান না দিয়ে লাইভ শেষ করি। এর মধ্যেই গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে শুনে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে অফিসের গাড়িটি ভাঙা অবস্থায় দেখতে পাই।

তানিয়া বলেন, ভাঙচুরের ঘটনায় একজনকে শনাক্ত করা গেছে। তার নাম এ এম নুর উদ্দীন হোসাইন। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ছাত্র এবং বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক।

তিনি জানান, উপস্থিত সাংবাদিকদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি ঘটনা তদন্ত করে আগামীকাল দুপুর পর্যন্ত সময় নিয়েছেন।

এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, তারা ঘটনাটি শুনেছেন। যেহেতু ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে হয়েছে, এজন্য মঙ্গলবার প্রক্টরিয়াল বডি বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।