কুমিল্লায় বিএনপির সমাবেশ : প্রস্তুত সাক্কুসহ কয়েক নেতার কর্মীসর্থকদের শোডাউন

কুমিল্লায় রাত পোহালেই বিএনপির গণসমাবেশ। এরই মধ্যে দলটির সাংগঠনিক এ বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক নগরীসহ আশপাশের এলাকাগুলোয় অবস্থান নিয়েছে।

অনেকে হোটেল-মোটেল ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে থাকছেন। কুমিল্লা দক্ষিণ, মহানগর ও উত্তর জেলা বিএনপির উদ্যোগে প্রায় ৫০ হাজার লোকের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে সমাবেশের দিন মাঠের দখল এবং নিজেদের আধিপত্য দেখাতে পাল্লা দিয়ে লোকসমাগম ঘটাচ্ছে জেলা ও মহানগর নেতারা।

বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কু এবং নিজাম উদ্দিন কায়সারও ব্যাপক শোডাউন করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

অপরদিকে মাঠের শৃঙ্খলা রক্ষায় দুদিন আগে থেকে কুমিল্লায় অবস্থান করে সবকিছু তদারকি করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

আগামীকাল কুমিল্লার টাউন হল মাঠে বিএনপির এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এরই মাঝে প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া, মাঠ প্রস্তুত করাসহ সব কাজ সম্পন্ন করেছে দলটি। বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুসহ একদল সিনিয়র নেতা সার্বিক বিষয়গুলো তদারকি করছেন।

এ গণসমাবেশকে ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তারা বলছেন, অন্য বিভাগের মতো এখানে পরিবহণ ধর্মঘট ডাকা হয়নি। কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা না থাকায় ব্যাপক লোকসমাগমের আশা করছেন নেতাকর্মীরা।

এদিকে মূলধারার বিএনপি নেতা এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজি আমিনুর রশীদ ইয়াছিন মাঠের সিংহভাগ তার সমর্থক দ্বারা দখলে রাখার চেষ্টা করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। পাল্লা দিয়ে লোকসমাগমের চেষ্টা করছেন বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সার।

তবে মাঠ দখল নিয়ে যেন কোনো সংঘাত-সহিংসতা কিংবা হট্টগোলের সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখছেন সমাবেশ সফল করার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নেতারা। তাছাড়া কুমিল্লার বাইরে থেকে আসা অতিথি নেতাকর্মীরা যেন থাকা-খাওয়ার কোনো সমস্যায় না পড়েন, সেদিকও তদারকি করছে মহানগর বিএনপি।

কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, আমরা ৫০ হাজার লোকের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। সমাবেশে আসা কোনো অতিথি নেতাকর্মী যেন কোনোরকম ভোগান্তির শিকার না হন, সে বিষয়টি খেয়াল রাখছি।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নগরীসহ আশপাশের এলাকাগুলোয় হাজার হাজার নেতাকর্মী অবস্থান করছেন, আমরা তাদের আপ্যায়ন এবং সব সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। নেতাকর্মীরা কোন কোন এলাকায় জড়ো হয়েছেন-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পুলিশি হয়রানিসহ নানা ঝামেলা এড়াতে এই মুহূর্তে তা আমরা প্রকাশ করছি না। তবে সময় মতো কুমিল্লার টাউন হল মাঠসহ প্রতিটি সড়ক লোকে লোকারণ্য হয়ে যাবে।

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমার হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক সমাবেশে উপস্থিত থাকবে, সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যেই আমি এমন উদ্যোগ গ্রহন করেছি।

নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, আমার ১০ হাজার কর্মী-সমর্থক সমাবেশে যোগ দেবে, এরই মাঝে আমি তাদের আপ্যায়নসহ সবকিছু তদারকি করছি। তবে শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় এমন কোনো কাজ আমি এবং আমার কর্মী-সমর্থকরা করবে না।