কুষ্টিয়ায় চোর পেটানোর খবরে গিয়ে চার পুলিশ সদস্য হামলার শিকার

কুষ্টিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে ফাঁড়ির ইনচার্জসহ চার পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় সন্দেহজনক চোর ও এক ইউপি সদস্যসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউপির কচুবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, কচুবাড়িয়া গ্রামের মাঠ থেকে বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প চুরির অভিযোগে ভেড়ামারা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সামছুলের ছেলে স্বপনকে (২২) আটক করে এলাকাবাসী। এরপর তাকে গণপিটুনি দেওয়ার খবর পেয়ে আমলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদশর্ক (এসআই) হাফিজুর রহমান, সহকারী উপ-পরিদশর্ক (এএসআই) কামরুজ্জামান ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সন্দেহজনক চোরকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চায়।

এ সময় স্থানীয় জনতা ঘটনাস্থলেই চোরের বিচারের দাবি করে তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে বাঁধা দিলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় আমলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই হাফিজুর রহমান, এএসআই কামরুজ্জামান, কনস্টেবল জামিরুল ও সাইফুল আহত হন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কচুবাড়িয়া গ্রামের মাঠ থেকে মোটর চুরির সময় স্থানীয়রা এক চোরকে আটক করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বারসহ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, কচুবাড়িয়া এলাকায় স্থানীয়রা এক চোরকে ধরে গণপিটুনি শুরু করে। সেই খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ এক ইউপি সদস্যসহ কয়েকজনকে আটক করেছে।