দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সংসদে অধিবেশন এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ যে ব্যবস্থা নিয়েছে; তা বিশ্বের অনেক দেশই পারেনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমেছে। কিন্তু কমলেও সবাইকে সাবধানে থাকা উচিত। হয়তো লকডাউন তুলে নিয়েছি। কিন্ত স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলার জন্য সবাইকে অনুরোধ করব। খুব তাড়াতাড়ি স্কুল কলেজ খুলে দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছি। সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের টিকা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষকদের সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের সবাইকে যেন টিকা দেওয়া হয়। আমরা বিভিন্ন সংস্থা বা স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে সবাইকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি।

টিকার বিষয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘আর টিকার কোনো সমস্যা নেই। যেখান থেকে যতটুকু পারছি আমরা নিয়ে আসছি।’

বাংলাদেশে গত বছর ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে তা আগামী ১২ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

এর আগে বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহামারি করোনা প্রতিরোধে গত ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এক কোটি ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ১৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬৯ জনকে দ্বিতীয় ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।

নওগাঁ-২ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

এ সময় করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা সংগ্রহ ও বিনামূল্যে টিকাদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের চতুর্দশ অধিবেশন শুরু হয়।