কুড়িগ্রামে সোনালী আশঁ নিয়ে বিপাকে কৃষক

সোনালী আঁশ খ‍্যাত পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কৃষকরা। ভরা বর্ষায় পাট কাটা, পিল দেওয়া, জাগ দেওয়া,পাটের আশঁ ছাড়ানো ও রোদে শুকানোসহ নানা কাজে ব‍্যস্ত থাকার কথা কৃষকদের। কিন্তু শ্রাবন মাসেও বৃষ্টি না থাকায় খাল বিল শুকিয়ে পানি শূন‍্য হয়ে যাওয়ায় কৃষকের মাঝে সেই ব‍্যস্ততা নেই। পানির অভাবে পাট কেটে জাগ(পঁচানো) দিতে পারছেন না। কোন কোন কৃষকের পাট জমিতেই শুকিয়ে কালো হয়ে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, মৌসুমের শুরুতে টানা বৃষ্টির কারণে জমিতে পাট বেড়ে ওঠতে পারেনি। যতটুকু হয়েছে তাও এখন খরার কবলে পড়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে পাট চাষ করে লাভের আশা তো দূরে থাক হাল চাষের খরচও উঠবে না অনেক কৃষকের।

উপজেলার পশ্চিমছাট গোপালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল জানান, গত বছর পাটের ভালো দাম পেয়ে সেই আশায় এ বছর দেড় বিঘা জমিতে গম চাষ করি। টানা বৃষ্টিতে অর্ধেক পাট নষ্ট হয়েছে। বর্তমানে পানি না থাকায় পাট জাগদিতে পারতেছি না।

পাইকেরছড়া ইউনিয়নের পাইকেরছড়া গ্রামের কৃষক জছিম উদ্দিন বলেন, দুই বিঘা জমির পাট কেটে জাগ দিয়েছি খালের পানি শুকিয়ে গেছে। বৃষ্টি না হলে পাট নষ্ট হয়ে যাবে।

নজরুল নামের এক কৃষক বলেন, প্রচন্ড রোদের তাপে পাট শুকিয়ে কালো হয়ে মরে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে মোট ২ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কৃষকরা ১ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেন।

উপজেলা উপসহকারি পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা রতন মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় খড়ার কারণে কৃষক কিছুটা অসুবিধায় পড়েছে। তিনি আরো বলেন-পাট দুটি পদ্ধতিতে পঁচানো যায়। একটি হলো ভারি বস্তুর সাহায্যে পানিতে ডুবিয়ে দেয়া। দ্বিতীয়টি হচ্ছে পাট ছিলিয়ে গর্ত করে সেখানে পানি দিয়ে পঁচানো। তবে দ্বিতীয়টিতে এ অঞ্চলের কৃষকরা অভ‍্যস্ত নন। তাই এখনি পাট না কেটে বৃষ্টি হলে পাট কাটার পরামর্শ দেন তিনি।