কেন বিয়ে করলেন না লতা মুঙ্গেশকর

লতা মঙ্গেশকর মানেই সুরের মূর্ছনা। লতা মানেই সুরেলা গলা দিয়ে মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখার অসম্ভব এক ক্ষমতা। আট দশক ধরে ভারতীয় সঙ্গীত জগতে কাজ করছেন তিনি। গান গেয়েছেন তিরিশটিরও বেশি ভাষায়। দীর্ঘকাল ধরে নিজের গলার জাদুতে তিনি মোহিত করে রেখেছেন সাধারণ মানুষকে। ২৮ সেপ্টেম্বর ছিল সুর সাম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী। এদিন ৮৯ বছরে পা রাখেন তিনি।

১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যবিত্ত মারাঠি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন লতা। পণ্ডিত দিনানাথ মঙ্গেশকরের বড় মেয়ে লতার জন্ম মধ্য প্রদেশের ইন্দোরে। প্রথমে লতার নাম রাখা হয় ‘হেমা’। জন্মের পাঁচ বছর পর তার নাম বদলে রাখা হয় লতা। ভাইবোনদের মধ্যে লতা সবার বড়। পিতা পণ্ডিত দিনানাথ ছিলেন থিয়েটার অভিনেতা এবং গায়ক।

মহারাষ্ট্রেই বড় হন লতা। সাত বছর বয়সে এই শহরে পৌঁছান ভারতের এই সুর সাম্রাজ্ঞী। পাঁচ বছর বয়সে বাবার সঙ্গে মঞ্চে অভিনেতা হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি শৈশব থেকেই গায়িকা হতে চেয়েছিলেন। পিতা ছিলেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুরাগী। এজন্য সম্ভবত, তিনি লতার চলচ্চিত্রে গান করার বিরুদ্ধে ছিলেন। ১৯৪২ সালে তার পিতা মারা যান এবং পরিবারের আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর লতা মারাঠি ও হিন্দি চলচ্চিত্রে ছোট ভূমিকায় কাজ শুরু করেন।

প্রথমবার মঞ্চে গান গেয়ে লতা ২৫ টাকা পারিশ্রমিক পান। এটাই তার জীবনের প্রথম উপার্জন। ১৯৪২ সালে প্রথমবার মারাঠা চলচ্চিত্র ‘কিতী হাসাল’-এর জন্য লতা গান গেয়েছিলেন।

কেন বিয়ে করলেন না লতা

শৈশবকালে কুন্দনলাল সেহগলের চলচ্চিত্র ‘চণ্ডীদাস’ দেখে তিনি বলেছিলেন, বড় হয়ে সেহগলকেই বিয়ে করবেন তিনি। কিন্তু তারা বিয়ে করেননি। তিনি জানান, পরিবারের সকল সদস্যের দায়িত্ব তার ওপর ছিল। এমন পরিস্থিতিতে বিয়ের চিন্তা এলেও সেটাকে গুরুত্ব দেয়ার কথা ভাবতেই পারেননি তিনি। সঙ্গীতকেই জীবনের একমাত্র অবলম্বন বেছে নেন লতা মুঙ্গেশকর।