খাগড়াছড়ির জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার যুবদলের সাধারন সম্পাদক, দল-মত নিবিশেষে সবার প্রিয় ইব্রাহিম খলিল(৩৭) অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন।

ব্রেনই স্ট্রোকে চট্টগ্রামে একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার(৪ঠা মে) সকাল ৬টা ৫০মিনিটে ইব্রাহিম খলিল শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। যুবদল নেতা ইব্রাহিম খলিলের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

খাগড়াছড়ি জেলা সদরের আলহাজ্ব তনু মিয়ার দ্বিতীয় পুত্র জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল(৪০) এর জানাযার নামাজে অগণিত মানুষ অংশ গ্রহণ করে। ধারনা করা হচ্ছে প্রায় ১২ থেকে ১৫হাজার মুসল্লী এই নামাজে জানাজায় অংশ গ্রহণ করে। বিগত বছরে খাগড়াছড়ি জেলায় কোন ব্যক্তির জানাযায় এত মানুষ উপস্থিত হয়নি। দলমত নির্বিশেষে অসংখ্য মানুষের ভালবাসায় সমাহিত হলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার(৪ঠা মে) ভোরে চট্টগ্রাম স্পেশালাইজড ট্রিটমেন্ট এন্ড ট্রমা সেন্টারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূইয়াসহ কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতৃবৃন্দ ও জেলার উপজেলার নেতৃবৃন্দরা জানাজায় অংশ নেন।

গত ২৭শে এপ্রিল ফেনী জেলায় অবস্থানকালে হঠাৎ ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন খলিল। তাৎক্ষণাৎ তাকে নেওয়া হয় চট্টগ্রাম এভার কেয়ার হাসপাতালে। ২৮শে এপ্রিল মধ্যরাত হতে ২৯শে এপ্রিল ভোর রাত পর্যন্ত ৪ঘন্টা ব্রেনে অপারেশন করে চিকিৎসকরা।

অপারেশনের পর থেকে এভারকেয়ারে আইসিওতে রাখা হয়। এরপর আইসিও থেকে বের করে তাকে চট্টগ্রাম স্পেশালাইজড ট্রিটমেন্ট এন্ড ট্রমা সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যান তিনি। খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সাংবাদিক ও সকল সকল স্তরের মানুষ তার রূহের মাগফেরাত কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই সন্তান, পিতা-মাতা, ভাইবোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে পুরো জেলায় শোকের ছায়া নেমে আসে। খলিলের সুস্থতা কামনাসহ মৃত্যুর খবর ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শোকবার্তা দেয়ার পাশাপাশি রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন সকলেই।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার মধ্যরাত শনিবার ভোর রাত পর্যন্ত ৪ঘন্টা ব্রেনে অপারেশন করে চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা তাকে ৭২ঘন্টার নিবির পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সংকটাপন্ন যুবদল নেতা ইব্রাহিম খলিলকে দেখতে ছুটে গেছেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়াসহ হাজারো নেতাকর্মী। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে খাগড়াছড়ি জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল(৩৭)। ব্রেন স্ট্রোক করে চট্টগ্রাম এভার কেয়ার হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ইব্রাহিম খলিল এক সময় খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম ছিলেন। এছাড়া খাগড়াছড়ি পৌরসভার নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী ছিলেন।

খাগড়াছড়ি জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম খলিলের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া, সহ-সভাপতি কংচাইরী মাষ্টার, প্রবীন চন্দ্র চাকমা, সাধারন সম্পাদক এমএন আবছার, যুগ্ম সম্পাদক মংসাথোয়াই চৌধুরী, অনিমেষ চাকমা রিংকু, ক্ষেত্রমোহন রোয়াজা, সাথোয়াপ্রæু চৌধুরী, জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুব আলম সবুজ, জেলা মহিলা দলের সভাপতি কুহেলী দেওয়ান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদুল হোসেন সুমন, সাধারন সম্পাদক জাহিদুল আলমসহ সকল অংগ-সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ইব্রাহিম খলিলের অকাল মৃত্যুতে বিএনপি একজন ত্যাগী ও সাহসী নেতাকে হারালো। তার মৃত্যুতে দলের যে ক্ষতি হয়েছে তার কখনো পূরণ হবার নয়। এর আগে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল। জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম খলিলের(৩৭) ব্রেনে অপারেশন করা হয়েছে। তবে এখনো জ্ঞান ফিরেনি। চিকিৎসকরা বলেছে, ৭২ঘন্টার পর বলা যাবে।

উল্লেখ্য, অমায়িক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সজ্জন ব্যাক্তি ইব্রাহিম খলিল। জনগণের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি অন্তত ৩ডজন মামলার আসামি হয়েছেন। বহুবার কারাবরণ করেছেন।

জানা গেছে, শালিকার বিয়েতে ফেনী যান ইব্রাহিম। গতকাল(২৭শে এপ্রিল) হঠাৎ ব্রেইন স্ট্রোক করে। তৎক্ষণাত নেওয়া হয় চট্টগ্রাম এভার কেয়ার হসপিটালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা গুরতর।