খাগড়াছড়ি স্বর্ণপদক জয়ী পাহাড়ের সম্ভাবনাময়ী অনিতার পাশে পার্বত্য প্রেসক্লাব

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় স্বর্ণপদক জয়ী অসহায় অনিতা ত্রিপুরার বসতঘর নির্মাণ করে দিয়েছে পার্বত্য প্রেসক্লাব। নানান প্রতিক‚লতার মধ্যেও বিভিন্ন খেলায় পারর্দশী অনিতার বসতঘরটি ছিল একেবারে জরাজীর্ণ। সেই গৃহ সম্পূর্ণ নতুনভাবে নির্মাণ করে দিয়েছে পার্বত্য প্রেসক্লাব।
“মাঠে খেলার সময় বৃষ্টি এলে দৌড়ে বাড়িতে আসতাম। কারণ, পড়ার টেবিলে পানি পড়তো। এখন সে চিন্তা নাই, নতুন ঘর পাইছি। মনোযোগ দিয়ে খেলতে পারবো।” নতুন বসতঘর পেয়ে এমন অনুভূতিই জানাল অনিতা।

বিধবা কুবালা ত্রিপুরা অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিল। এসময় তিন বলেন,’সাংবাদিকদের ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাইনা। শুধু আর্শীবাদ করবো যেন আরো অনেক জনকে এমন সাহায্য করতে পারে।” পার্বত্য প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: জুলহাস উদ্দিন বলেন,” ২০২০সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা ৩৫টি ঘর করে দিয়েছি। আরো বেশি যাতে দিতে পারি সবাই আশীর্বাদ/দোয়া করবেন।”

খাগড়াছড়ির পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন “পার্বত্য প্রেসক্লাব” প্রতিষ্ঠার পর থেকে মানব সেবামূলক কর্মকাÐের জন্য বহুল প্রশংসিত একটি সংগঠন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী কর্তৃক আয়োজিত “জাতীয় শিশু পুরস্কার-২০২০” প্রতিযোগিতায় গত ২৪শে ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত দীর্ঘ লম্ফ/লং জাম্প(বালিকা) ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন অনিতা ত্রিপুরা গত ২৯শে জানুয়ারি ২০২৩খ্রি: তারিখে চ্যাম্পিয়নশিপের পুরস্কার হিসেবে স্বর্ণপদক গ্রহণ করে।

এর আগে আন্ত:স্কুল, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করে অনিতা।
অনিতা মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতি ইউপির তাকারমনি পাড়ার দিনমজুর বিধবা কুবালা ত্রিপুরার ছোট মেয়ে। অনিতা ছয় ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট। গোমতি বিকে উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সে। তার বয়স যখন সাত মাস তখন তার বাবা মারা যান। রোগে ভোগে নিজের চিকিৎসার প্রয়োজনে সকল সহায় সম্বল হাতছাড়া হয়ে মারা যান অনিতার বাবা। বিধবা মায়ের আঁচল আঁকড়ে আজ এ পর্যায়ে এসেছে অনিতা।