খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালিত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার ৯টি উপজেলাতে পালিত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা। গৌতম বুদ্ধের শুভজন্ম, বোধিজ্ঞান ও মহাপরিনির্বাণ লাভ এই তিন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বিশ্বের সব জায়গার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে বুদ্ধ পূর্ণিমা নামে পরিচিত।

শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে খাগড়াছড়ি জেলাসহ ৯টি উপজেলায় বৌদ্ধ বিহারগুলোতে এ ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করেছে। বৌদ্ধ ধর্মালম্বী মারমা, চাকমা, রাখাইন, মগ ও বড়ুয়া সম্প্রদায়।
খাগড়াছড়ি ঐতিহ্যবাহী য়ংড বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধপূর্ণিমায় উপাসক-উপাসিকা ও পূণ্যার্থীরা বুদ্ধুপূজা, পিন্ডদান, পঞ্চশীল প্রার্থনা, সংঘদান, অষ্টপরিস্কার দান, বুদ্ধ মূর্তিদান, লাভী শ্রেষ্ঠ অরহত সীবলী মহাথেরো অভিষেক অনুষ্ঠানসহ প্রদীপ পূজা করেছে।

বুদ্ধ পূর্ণিমা মধ্য করোনা মহামারী থেকে বিশ্বের সকল মানুষেরা করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষার্থে এবং বিশ্ব শান্তি কামনায় ভগবান বৌদ্ধের কাছে প্রার্থনা করেছে পূণ্যার্থীরা।

খাগড়াছড়িতে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা বুদ্ধ সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারে, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্মগ্রহণ করেছিলেন নেপালের লুম্বিনী কাননে। এ রাতেই তিনি বৌদ্ধত্ব বোধিজ্ঞান লাভ করেছিলেন এছাড়াও গৌতমবুদ্ধ পরিনির্বাণ লাভ করেন একই রাতেই। তাই একই সূত্রে গাথা ত্রি-স্মৃতি বিজরিত।