খাগড়াছড়ির-সাজেক সড়কে বিকল্প সেতু অস্থায়ীভাবে চালু করেছে সেনাবাহিনী

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার-সাজেক সড়কের মাত্র ৭২ঘন্টার ব্যবধানে দীঘিনালার মাইনী নদীতে ভেঙে পড়া মাইনী বেইলি সেতুর পাশে বিকল্প সেতু অস্থায়ীভাবে চালু করেছে সেনাবাহিনীর ২০ইসিবি। ভেঙে পরা বেইলি ব্রিজ পুরোদমে চালু করতে ৩সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।

রবিবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে পুরোদমে যান চলাচল শুরু হয়। এতে দুই পাড়ে আটকে থাকা যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাক চলাচল শুরু হয়েছে। তবে মূল সেতু মেরামত করতে তিন সপ্তাহের মত সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনীর ২০ইসিবি।

গত মঙ্গলবার(৭ই মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সীমান্তে রাস্তার কাজে নিয়োজিত পাথরবোঝাই একটি ট্রাক মাইনী নদীর বেইলি সেতু পার হওয়ার সময় ভেঙে পড়ে। এতে ১২০ফুট দৈর্ঘ্যের সমান সেতু ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় দুই পাড়ের যান চলাচল। বিকল্প পথে যান চলাচল করলেও সরু সেতু ও সড়কের কারণে দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পরে মেঘের রাজ্য পর্যটকগামী পর্যটকসহ সাধারণ মানুষ।

দীঘিনালা বিকল্প সড়কে যান চলাচল করলেও দুর্ঘটনার পরদিন থেকে অস্থায়ী বেইলি সেতু ও দুইপাশে বিকল্প সড়ক তৈরির কাজ শুরু করে ২০ইসিবি। বিকল্প সেতু চালু হওয়ায় খুশি চলাচলকারীরা।

সেনাবাহিনীর ২০ইসিবির উপ-অধিনায়ক মেজর আবু নোমান মো: মঈনুল ইসলাম জানান, জনভোগান্তি দূর করতেই ৭২ঘন্টার মধ্যে বিকল্প সেতু চালু করেছে সেনাবাহিনী। তবে ভেঙে পরা বেইলি ব্রিজ চালু করতে ৩সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে ২০ইসিবির এই কর্মকর্তা।

খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, খাগড়াছড়ি-সাজেক আন্ত: প্রধান সড়কের গুরুত্ব বিবেচনায় মাইনী নদীর উপর বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে স্থায়ীত্ব কংক্রিট ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনার কথা বলছেন স্থানীয় সড়ক বিভাগ।

এর আগে ২০১৭সালের ২৭শে অক্টোবর বিকেলে কাঠবোঝাই ট্রাক পার হতে গিয়ে সেতুটি ভেঙে গিয়ে অন্তত: ৭দিন যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।