সাঈদীকে জেলে ঢুকিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রেও উদ্দেশ্য তাই: মির্জা ফখরুল

যুদ্ধাপরাধের মামলায় আজীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মতো খালেদা জিয়াকেও চিকিৎসা না দিয়ে সরকার মেরে ফেলতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে রোববার বগুড়ায় তারুণ্যের রোডমার্চ শুরুর আগে পথসভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী করা’ হয়। যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, ‘লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট ছাড়া’ তাকে বাঁচানো যাবে না। বিদেশে না নিলে সেটা সম্ভব নয়। কিন্তু সরকার তা করতে দিচ্ছে না।

মির্জা ফখরুল বলেন ‘সাঈদী সাহেবকে যেভাবে জেলে ঢুকিয়ে মেরে ফেলেছে, আজকে আমাদের দেশনেত্রীর ক্ষেত্রেও উদ্দেশ্য ওইটাই। তাই আজকে পরিষ্কার করে বলতে চাই, অবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।’
তা না হলে সমস্ত দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘ভোটের অধিকার আদায় করতে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। জনগণকে জেগে উঠতে হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে ভোট দিতে হবে। ১৪ ও ১৮ সালের ভোট আমরা দেখেছি। আগামী ২৪ সালের ভোট এই সরকারের অধীনে হতে দেওয়া যাবে না। আমরা আর শিয়ালের কাছে মুরগি বাগী দিতে রাজি না।’

ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য শেখ হাসিনা ১৮ দিনের সফরে আমেরিকায় যাচ্ছেন উল্লেখ করে মীর্জা ফখরুল বলেন, ‘এবার ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের অধিকার আদায় করে নিয়েই ছাড়ব।’

পথসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান মাহমুদ টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদ ইকবালসহ অন্য নেতারা বক্তব্য দেন।

বগুড়ার ১২ উপজেলা ছাড়াও জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও পাবনা থেকে আগত নেতা-কর্মীরা তারুণ্যের রোডমার্চে অংশ নেন। পথসভা শেষে বগুড়া শহরতলির এরুলিয়া হাট চত্বর থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর নওগাঁ হয়ে রাজশাহীর উদ্দেশে যাত্রা করে। গাড়িবহরে ২ হাজার মাইক্রোবাস, পাঁচ শতাধিক বাস ও ট্রাক ছাড়াও পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেলে নেতা-কর্মীরা অংশ নিচ্ছেন।